ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই শহরে নিরাপদ থাকবেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৫
প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই শহরে নিরাপদ থাকবেন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সাঈদ খোকন নির্বাচিত হলে প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই শহরে নিরাপদ থাকবেন। ক্ষমতার অপব্যাহারও হবে না।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ঢাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। আর ঢাকা সংলাপে উন্নয়ন সঙ্গী হিসেবে মির্জা আববাসও সঙ্গে থাকবেন।  

বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিন রোববার (২৬ এপ্রিল) রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন এ প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, আমি শহরের মানুষকে মর্যাদার আসনে বসাবো। সম্মান করব। এটা আমার প্রতিশ্রুতি। আমি  দুর্নীতিমুক্ত মানুষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করব।

আমি নির্বাচিত হলে বিশেষজ্ঞ, নগরবিদ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহণে ঢাকা সংলাপের আয়োজন করব। মির্জা আব্বাসও আমার সঙ্গে থাকবেন।

তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ব্যাপারে আমি একটি দিনও কোনো কথা বলিনি। বলার কী কিছুই ছিল না? নিশ্চয় ছিল। উনি মেয়র ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন। বলার অনেক কিছু্ই ছিল। কিন্তু আমি একটি কথাও বলিনি। আমি তার সম্মানের কথা ভেবেছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সাঈদ খোকন বলেন, আপনারা আমাকে নানা অভিযোগের কথা বলে প্রশ্ন করেছেন। আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আব্বাসের নামটিও উচ্চারণ করিনি। সামান্যতম কিছু বলিনি, কারণ উনি বিব্রত হতে পারেন।

আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর স্ত্রী এসেছিলেন আমার বাসায়। তিনি আমার বাসায় বিশ্রাম করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তাকে আমি চাচি বলি। তিনি আমার বাসা নিরাপদ মনে করেছেন। তাকে যতটুকু সম্মান দেওয়ার আমি তা করেছি।

প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই শহরে নিরাপদ থাকবেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করবো না প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, আমার বাবা (মোহাম্মদ হানিফ) ৯ বছর মেয়র ছিলেন। তিনি প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় ছিলেন।

এ সময় আমি কোনো মানুষকে অসম্মান করিনি। কেউ সে কথা বলতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে পুত্রের মতো স্নেহ করেন। গণভবন আমার জন্য উন্মুক্ত।

তার কাছে যেতে আমার পাস লাগে না। আমি তার সঙ্গে থেকেছি। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো মন্ত্রণালয়ে বা অন্য কোথাও আমি কোনো সুযোগ নিতে সুপারিশ করিনি। আমি দুর্নীতিমুক্ত মানুষ। আমি ঢাকা শহরকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করব।
 
মানুষের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তা থাকবে। তবে আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।

বঙ্গবন্ধু  এ্যভিন্যুতে গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে সাঈদ খোকন বলেন, ওইদিন আমি সেখানে ছিলাম। একটার পর একটা গ্রেনেড বিস্ফোরণ হচ্ছে। আমার পিতার রক্ত ঝরছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে ছেড়ে যাননি। তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। তিনি যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে আমার জন্য ভোট চাইতেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় সাংবাদিকসহ অন্যদের সঙ্গে আচরণে ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চান সাইদ খোকন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগ সাংগাঠনিক সম্পাদক  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সংসদ সদস্য খালিদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয় পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে শেষ পর্যায়ের গণসংযোগ করবেন সাঈদ খোকন।

বাংলাদেশ সময় : ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৫
এসএমএ/কেজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।