ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গোপনে’ই থাকলেন মির্জা আব্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
‘গোপনে’ই থাকলেন মির্জা আব্বাস মির্জা আব্বাস

ঢাকা: অবশেষে ‘গোপনে’ থেকে গেলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাস। ২৬ এপ্রিল প্রচার প্রচারণা শেষ হলেও একদিনের জন্যও ভোটারদের কাছে যাননি মির্জা আব্বাস।



কেবলমাত্র দুই মামলার জামিন শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে এক ফাঁকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। আর তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার পক্ষে পুরো সময় ধরে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।  

নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় দেখা যায়, বর্তমানে বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা রয়েছে। আর অতীতে ছিলো ২৪টি।

এর মধ্যে বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায়, একই বছরের ৬ মার্চ প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় এবং বিস্ফোরক আইনে গত ৪ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে এ আগাম জামিনের আবেদন করেন  তিনি।

নির্বাচনকে সামনে রেখে জামিন আবেদন করা করা এ তিনটি মামলার মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল নাশকতার দুটিতে বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট। আর অপরটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিলে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে এর আংশিক শুনানি হয়। ২৭ এপ্রিল ওই বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে বিভক্ত আদেশ হওয়া দুই মামলার জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) জামিনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ গঠন করেন।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) বেঞ্চটিতে জামিনের আবেদন শুনানির জন্য আসতে পারে।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য নেতাদের মতো মির্জা আব্বাসও আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে জামিন আবেদনের পর হঠাৎ করে হাইকোর্টে উপস্থিত হন। কিন্তু জামিনে বিভক্ত আদেশের পর ১৫ এপ্রিল তিনি আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাপতির কক্ষে মিডিয়ার কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আমি তো সরাসরি আপনাদের কাছে আসতে পারলাম ভালো, না পারলে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাকে গ্রেফতার করা হলে, গ্রেফতারের জবাবে মগ প্রতীকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিবাসী যেন আমাকে ভোট দেন, সেটা কামনা করি।
ওই দিন থেকেই আবার তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
ইএস/কেএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।