ঢাকা: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিশোধ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু সেদিনই উল্টো তাকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে ‘আসল’ বিএনপি।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির ‘আসল’ মুখপাত্র বলে নিজেকে দাবি করা কামরুল হাসান নাসিম এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নিজের পরিচয় হিসেবে নাসিম লেখেন- বিএনপির রাজনীতির ক্রান্তিকালীন সময়ের সংকটকালীন মুখপাত্র।
এতে তিনি বলেন, ভোটের দিনে নীরব প্রতিশোধের কথা বিএনপির অবৈধ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘটা করে বললেও বাস্তবতা হল- ২৮ এপ্রিল, দলের মধ্যকার গণতন্ত্র ফেরাতে এবং রাজনীতির মুল ধারায় ফিরতে তাকেই সবাই বয়কট করবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে।
নাসিম নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির ভুমিকা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক মনে হলেও কালো টাকার ব্যবহার রোধ করা সম্ভব হয়নি।
এমন কি বাম ধারার রাজনীতিক জোনায়েদ সাকির নির্বাচনী খরচ কোথা হতে এলো তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভুমিকা রাখা উচিত ছিলো।
নাসিম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওই প্রার্থী পুরোদমে ব্যবসায়ী রাজনীতিক বনে যাওয়ার আসল কারণ বের করা প্রয়োজন ছিল। একই ভাবে নির্বাচনী সহিংসতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকা ( উত্তর) এর অপর জাতীয়তাবাদী চেতনায় থাকা প্রার্থী মাহি বি চৌধুরীর ওপর ঘটে যাওয়া হামলার নেপথ্য কারণ বের করা উচিত ছিল। এটিও বিএনপির অবৈধ নেতৃত্বের মতোই থিয়েটার মঞ্চস্থ, না বিশেষ কিছু ছিল তা ঢাকাবাসীর জানা জরুরি।
এ মুখপাত্র আরও বলেন, চলতি বছরের শুরুতেই দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপির অসুখ হয়েছে এবং আমি সামাণ্য ওষুধওয়ালা। সেই চিকিৎসা চলছে। সেখানে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনী ইস্যু অত্যন্ত গৌণ।
নাসিম বলেন, হয়তো আবেগঘন পরিস্থিতির অবতারণা করে দলের অবৈধ চেয়ারপারসন দুর্নীতিবাজ মির্জা আব্বাস এবং তরুণ কিন্তু কাঁচা প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের জন্য ভোট চেয়েছেন, কিন্তু তিনি যেদিন থেকেই প্রচারণায় নেমেছিলেন- দলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া কেহ সায় দেই নাই।
হামলা নাটকে খালেদা জিয়া তৎপর ছিলেন এবং প্রত্যেকটি দিনে শহীদ জিয়ার আসল অনুসারীরা সাধারণ জনগন নিয়ে তার পেটুয়া বাহিনীদের মোকাবেলা করেছে বলেই অনুমিত হয়। যা খালেদা জিয়ার পরিকল্পনার বাইরের অংশ ছিল। তিনি ভাবতে পারেন নাই, দলের মধ্যকার তার বিরোধীতা করার জন্য আশেপাশেই সবাই আছেন।
নাসিম বলেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপির বৈধ (দলীয়) সমর্থিত কোনো প্রার্থী নেই। রঙ তামাশার এই নির্বাচন শেষ হলেই দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ আয়ের রাষ্ট্র করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হাতে নেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
এসকেএস/বিএস