ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

তিন সিটিতে চলছে ভোট উৎসব

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
তিন সিটিতে চলছে ভোট উৎসব ছবি: নাজমুল, হারুন, বাদল ও রাজিব / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেশের দুই প্রধান নগরীর তিনটি সিটি কর্পোরেশনে একযোগে ভোট উৎসব।



মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় কেন্দ্রে-কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

তিন সিটির বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে বাংলানিউজের প্রতিনিধিরা জানান, ভোরের আলো ফুটতেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়। ভোটগ্রহণের সব উপকরণ প্রস্তুত করতে থাকেন ভোটারদের জন্য।

সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও এর আগে থেকেই কোনো কোনো ভোট কেন্দ্রে সামনে ভোটারদের কেন্দ্রের ‍সামনে লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

সকাল ৮টার পরপরই রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই কেন্দ্রে রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আর উৎসাহ উদ্দীপনাও লক্ষ্য করা যায় এই কেন্দ্রে।  

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও ভোর থেকেই ভোট কেন্দ্রের আশে-পাশে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।

সিটি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন সিটি প্রায় ৮০ হাজার ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ২২ জনের ফোর্স এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ২৪ জনের ফোর্স। এদের মধ্যে ১২ জন ফোর্স অস্ত্রসহ তৎপর থাকবেন।

প্রতি ৭৬ জন ভোটারের বিপরীতে একজন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

সেনাবাহিনী:
এছাড়া তিন সিটিতে মোট তিন ব্যাটেলিয়ান সেনা সদস্য ক্যান্টনমেন্টে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে।

গোপন পর্যবেক্ষক:
ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে মাঠে রয়েছে ইসির গোপন পর্যবেক্ষক দল।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১২ জন কর্মকর্তা, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৯ জন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় ১৪ জন কর্মকর্তা গোপনে পরিস্থিতি ও কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবেন।
পর্যবেক্ষক:
তিন সিটি নির্বাচনে দেশি-বিদেশি সংস্থার ২ হাজারের মতো পর্যবেক্ষক নির্বাচনী মাঠে থাকবে। এছাড়া ৪ হাজার সাংবাদিক নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করবেন।
 
কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেওয়া তথ্য মতে, এবার নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৬টি ওয়ার্ডে ২৮১জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৮৯জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৬ জন মেয়র পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। তারা ১ হাজার ৯৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। এ নির্বাচনে ৮৮৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ডিএসসিসি নির্বাচনে ৩৯০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী, ৯৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ২০ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। সিটিতে মোট ৭১৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন এবং মেয়র পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 
সর্বশেষ ২০০২ সালে ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এবং ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
ইইউডি/এটি/এমএমকে

** ভোট শুরুর আগেই দীর্ঘলাইন
** ভোট কেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা
** রাত পোহালেই ভোট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।