ঢাকা: ভোটের শুরুতেই তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। ক্যাম্প ভাঙলেও মন ভাঙতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আমরা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরই সকাল সোয়া আটটায় গুলশান-২’ এর মানারত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ কেন্দ্রে সপরিবারে ভোট দেন তাবিথ।
এ সময় তাবিথের সঙ্গে ছিলেন তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মা নাসরিন আউয়াল, স্ত্রী সওসান ইস্কান্দার, ভাই তাজওয়ার আউয়াল ও তাফসির আউয়াল।
এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন তাবিথের ভাই তাফসিরের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভির মেয়ে সোহেলী।
তাবিথের অভিযোগ, তার অনেকগুলো নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে তার নির্বাচনী কর্মীদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে তার এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ঢুকতে পেরেছেন কি-না, খোঁজ-খবর নিয়ে জানাতে পারবেন এবং পরে অবস্থা বুঝে বক্তব্য দেবেন বলে জানান তাবিথ। তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার পরে আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছি।
ভোট সুষ্ঠু হলে জয় আমাদের সুনিশ্চিত বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাবিথ বলেন, আমরা জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমরাই জয়ী হবো।
তাবিথ আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ভোটাররা সুস্থভাবে ভোট দিতে পারলে আমরা জনরায় মেনে নেবো।
যে ছোট ভুলের কারণে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তা সংশোধনের চেষ্টা করেও সফল না হওয়ার কথা জানান তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, এখন আমার ছেলে প্রার্থী আছে। তাকে মানুষ গ্রহণ করে নিয়েছে।
তাবিথের মায়ের অভিযোগ, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চেয়েছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
আর তাবিথের স্ত্রী সওসান ইস্কান্দার দোয়া চান সবার কাছে।
তাবিথের সঙ্গে বাবা-মা ছোট ভাই তাজোয়ার আউয়ালও ভোট দেন একই কেন্দ্রে। অন্যরা অন্য কেন্দ্রের ভোটার।
সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের সজাগ ও সতর্ক-নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান তাবিথ আউয়াল।
ভোট দিয়ে পরে বাড্ডা হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে যান তাবিথ। প্রথমে একজন কর্মকর্তা ঢুকতে দেননি তাকে। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে বলেন, এখানে তাদের কোনো এজেন্ট নেই। পরে তিনি দ্রুত চলে যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
এসকেএস/টিআই/এসআই/এমআইএস/এএসআর