মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ভীড় জমাতে শুরু করেছেন মেয়র,কাউন্সিল,সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল চারটা পর্যন্ত ডিএসসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এ রকম অন্তত ৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
লিখিত অভিযোগে পোলিং এজেন্টদের মারধর, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা প্রদান এবং সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিলমারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগীরা আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে পুলিশের হাতে দিচ্ছে। ’
আব্বাসের স্ত্রী লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, ‘আওয়ামী ক্যাডাররা ভোট কেন্দ্র দখলে নিয়ে তাদের প্রার্থীর পক্ষে সিল মেরেছে। ’
দক্ষিণের ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ামুল হক কার্জন লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভোটের বাক্স ভরেছে ২ ঘণ্টায়। ৩৯ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মইনুল হোসেনের লোকজন ব্যালেট বাক্স দখলে নিয়ে ২ ঘণ্টায় সিল মেরে ভরে ফেলেছেন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ এসব জানিয়েছি। ’
১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোশাররফ হোসেন চঞ্চল ৪টি, ৫৬ নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলাম ৪টি অভিযোগ দায়ের করেন। ১টি করে অভিযোগ দায়ের করেন ৩৮ নং ওয়ার্ডের, ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াহিদুর রহমান, ৪১ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ রেফাত আহম্মদ, ৪৮ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ জনি, ৫ নং ওয়ার্ডের দিলারা বেগম, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইমুল সুইট, ৪৭ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মাহবুব মাওলা হিমেলসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী।
লিখিতভাবে তারা তাদের পোলিং এজেন্টকে মারধর, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা প্রদান, জোরপূর্বক ভোট কেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন।
প্রার্থীদের অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএসসিসি নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে কিছু বলা যাবে না। কোনো প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে আমাদের অভিযোগ সেলে অভিযোগ দায়ের করছেন। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টরাই ব্যবস্থা নেবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
এমআইএস/এডিএ/আরআই