ঢাকা: সদ্যসমাপ্ত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিল ও পুরো নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছে নির্বাচন পরিচালনায় বিএনপির গঠিত সংগঠন আদর্শ ঢাকা আন্দোলন।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি তোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গতকাল (২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার) যে নির্বাচন হয়েছে, তা দেশের ইতিহাসের মহাকলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকদের স্বেচ্ছাচারিতায় পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিই আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এভাবে প্রকাশ্যে ভোটচুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আমরা বিস্মিত। গোটা জাতি হতভম্ব। আমরা উৎকণ্ঠিত। আমরা দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন।
আদর্শ ঢাকা আন্দোলন নির্বাচনকে ‘সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ‘ বলে অভিযুক্ত করে তার প্রতিবাদ জানায়। একইসঙ্গে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।
শওকত মাহমুদের লিখিত বক্তব্য পাঠের পর কথা বলেন অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, এভাবে নির্বাচন হয় না। আমরা নির্বাচনের আগে ইসির কাছে গিয়েছিলাম। তাদের বলেছিলাম নির্বাচনের ভূমিটা যেন সমতল হয়। ভোটাররা যেন যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে। প্রার্থী যেন তার ভোটারদের কাছে যেতে পারে। নির্বাচনের সময় যেন রাজনৈতিক মামলায় ‘অজ্ঞাত’ বলে দেখানো লোকদের হয়রানি করা না হয়। আমাদের কোনো দাবিই মানা হয়নি। সে কারণে গতকাল কী হয়েছে তা পুরো জাতি দেখেছে। তারা (ইসি) দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যা দেখিয়েছেন সেটা স্কুলের তিন শিশুকে এনে দিলেও ব্যতিক্রম হতো না।
সিটি নির্বাচনে তার ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, তিনি দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন। আমি তার ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহপ্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫/আপডেট ১৭০১ ঘণ্টা
এমএম/আরআই/এইচএ/