ঢাকা: বিজয়কে নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, আমি নগরের পিতা নই, সন্তান।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আব্বাস পেয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট।
ভোটের ফলাফল প্রাকাশিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাঈদ খোকন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। আমার প্রয়াত পিতা মোহাম্মদ হানিফ যেভাবে নিজেকে মানুষের সুখে-দুখে উৎসর্গ করে গেছেন, এখন থেকে আমিও মানুষের সুখে-দুখে নিজেকে উৎসর্গ করবো।
নগর সেবার কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, আমার প্রথম বছর হবে; বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার প্রত্যয়। দ্বিতীয় বছর থেকে মেয়াদকাল পর্যন্ত ঢাকাকে বিশ্বমানের নগরী গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সবুজের নগরী গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
সমস্যা সমাধানে কোনো ত্রুটি থাকবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন সাঈদ খোকন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় যারা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সেবা দিয়ে থাকে তাদের একটি সমন্বিত কতৃপক্ষ করার চেষ্টা করবো। পর্যায়ক্রমে নগর সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায় কি না- এ বিষয়ে কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে, এটাকে কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন কারাটা ছেলেমানুষী। ছোট বেলায় যেমন ফুটবল খেলতে গিয়ে কয়েকটা গোল খেলে নানা অজুহাতে খেলা বন্ধ করতাম। ঠিক তেমনি, নিছক একটি অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। মানুষ এটাকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি হিসেবে দেখে।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আব্বাসকে সম্মানের আসনে বসাবেন বলেও জানান, সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, তিনি (আফরোজা আব্বাস) আমার চাচী মা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী (মির্জা আব্বাস) আমার চাচা। বাবার সঙ্গে রাজনীতি করতেন। আমি তাদের সন্তান। আমি তাদের সম্মান করি। এই সম্মানটা থাকবে। যে কোনো প্রয়োজনে চাচা-চাচীর পরামার্শ নেব। ঢাকার মানুষ হিসেবে অপ্যায়ন করা, আতিথেয়তা করা, কোনোটার কমতি হবে না। নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে, তবে সম্মানের জায়গাটা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
এসইউজে/এমজেএফ