ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে কারচুপি, জালিয়াতি ও প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করবে ২০দলীয় জোট। শিগগিরই দলের সিনিয়র ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে ২০দলীয় জোট।
শনিবার (০২ মে) সকালে শ্রমিক দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিক দলের নেতাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
২৮ এপ্রিলের সিটি নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোট, কেন্দ্র দখল ও প্রহসনের অভিযোগ করে এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান হান্নান শাহ।
হান্নাহ শাহ বলেন, নির্বাচনের পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। কারণ বিএনপি গণতান্ত্রিক ও শান্তির দল। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই থাকবো। সরকার উস্কানি দিলেও ওই ফাঁদে পা দেবে না ২০ দল।
তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল যে নির্বাচন হয়েছে তা ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো ‘নীল নকশার’ নির্বাচন। সে সময়ে কেউ কেউ বলেছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে জয়লাভ করতো। এবার মিডিয়ার কল্যাণে দেশে-বিদেশে সবাই দেখেছে, এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সিটি নির্বাচনে শতভাগ কারচুপির পরও নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তাহলে জনগণ ক্ষেপে গিয়ে ‘গণধোলাই’ দিলেও নির্বাচন কমিশন বলবে এটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছে উল্লেখ করে হান্নান শাহ বলেন, কয়েকদিন আগে জিয়াউর রহমানের মাজারে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করেছে। তারা ভেবেছে মাজার ভাঙচুর করে জিয়ার নাম মুছে দেবে। কিন্তু এদেশের প্রত্যেক মানুষের মনে জিয়াউর রহমানের নাম লেখা রয়েছে।
বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরাচারি’ সরকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ সরকারের লোকেরা ‘ভোট ডাকাতি’ করে, কিন্তু কোনো বিচার হয় না। অথচ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে। যারা বাইরে রয়েছেন তারা কাজ করতে পারছেন না। সরকার তাদের নামে চার্জশিট দিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের মতো প্রসহনের বিচার করতে চায়।
এ সরকারের কাছ থেকে জনগণ মুক্তি চায়। সরকারের সব বৈআইনি কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে ফুটে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এমএম/জেডএস