ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৫
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে।



শনিবার (০২ মে) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। স্থানীয় নির্বাচনে প্রাণহাণির মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তেমনটি হয়নি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

নাসিম বলেন, নির্বাচনের দিন মানুষ সকাল ৮টা থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে। বিএনপির প্রার্থীরা ৯ লাখ ভোট পেয়েছে। কারচুপি হলে বিএনপি নয় লাখ ভোট পেল কিভাবে?

প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে দাবি করে নাসিম বলেন, সকাল থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দুপুরে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে নাসিম আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভোট হয়েছে, তারা নির্বাচন বর্জনের পরও মানুষ ভোট দিয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হবে বলে মত দেন নাসিম। তিনি বলেন,  সংবিধান অনুযায়ি আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে নাসিম আরও বলেন, খালেদা জিয়া সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় নেমে নিরব বিপ্লবের কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি নিরবে নির্বাচন বর্জন করলেন। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া মাঠে নেমে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলেন। তিনি মাঠে নামার আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল।

খালেদা বিএনপির বড় নেত্রী। তিনি নির্বাচনী প্রচারে নেমে দোকানে দোকানে ভোট চেয়েছেন। কিন্তু মানুষ তার আহ্বানে সারা দেয়নি। গত তিন মাসে আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা করা হয়েছে। মানুষ এই নির্বাচনে তার জবাব দিয়েছে।  

এক প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, আমাদের কূটনীতিকরা সবসময় রুটিনমাফিক কিছু কথা বলে থাকেন। তারপরেও বিএনপি নির্বাচন বর্জনে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে কমিশন দেখবে।

তিনি বলেন, সরকারের কোমর শক্তই আছে। আমাদের শক্তি আছি। আমরা দেখতে চাই বিএনপির কোমর কতটুকু শক্তিশালী।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিজয়ী হওয়ায় ১৪ দলের সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কামরুল আহসান, আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হক, মুকুল বোস, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শাহাদাৎ চৌধুরী, নুরুর রহমান সেলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা,এম ০২, ২০১৫/আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা.
এসকে/কেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।