ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি সমর্থিত শত নাগরিক জাতীয় কমিটি। ‘জিয়ার মাজারে আঘাত স্বাধীনতার মর্মমূলে আঘাত’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।
শনিবার (০২ মে) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো দেশের বিশিষ্ট শত নাগরিকের স্বক্ষরিত এক বিবৃতিতে কমিটির পক্ষ থেকে এ নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ভয়ংকর সংবাদে আমরা স্তম্ভিত, আমরা হতবাক।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ১০০ গজের মধ্যে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে বলা হয়, শহীদ জিয়ার মাজারের ওপর ভয়ানক আঘাতের এ ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর বাসার ১০০ গজের মধ্যেই। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত সন্ত্রাসীরাই এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত হামলা করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা উদ্বিগ্ন এখানেই যে- পুলিশ এ বিষয়ে এখনো নূন্যতম কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশকে যারা ব্যর্থ ও অকার্যকর করতে চায়, জাতি হিসেবে আমাদের অগ্রগতির যাত্রাকে যারা রুদ্ধ করতে চায়, যারা চায় জাতিকে বিভেদ, ঘৃণা ও হানাহানির মধ্যে ডুবিয়ে দিতে- এটা সেই চক্রের কাজ। আমরা গর্হিত এ কর্মের নিন্দা করি। প্রত্যাশা করি, অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটা কথা আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই- হাজী শরিয়তুল্লাহ, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান আমাদের প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা নিজ নিজ কর্মের মাধ্যমে অর্জন করেছেন জাতীয় নেতার সম্মান। সেই সম্মান ফ্যাসিবাদ চক্রের হাতে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে- তা জাতি সইবে না। এ জন্য সময় থাকতে সবাইকে সংশোধন হওয়ার আহ্বান জানাই আমরা।
বিবৃতি দাতারা হচ্ছেন:
এমাজউদ্দিন আহমেদ (আহ্বায়ক), সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাদেক খান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, মাহফুজ উল্লাহ, শফিক রেহমান, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, আবদুল হাই শিকদার (সদস্য সচিব), ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, মাহফুজ উল্লাহ, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, এম আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী, ইলিয়াস খান, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বেবী নাজনীন, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর আকা ফিরোজ আহমদ, ড. আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (মালয়েশিয়া), প্রফেসর ইশাররফ হোসেন (মালয়েশিয়া), ড. কেএমএ মালিক (যুক্তরাজ্য), শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ (আয়ারল্যান্ড), আতিকুর রহমান সালু (যুক্তরাষ্ট্র), জয়নাল আবেদিন (যুক্তরাষ্ট্র), মঞ্জুর আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), আবদুল্লহিল বাকী (ফ্রান্স), তমিজ উদ্দিন (ইতালি), ড. মোবাশে¡র মোনেম, ড. আবুল হাসনাত, ড. এবি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর ড. আজহার আলী, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. খলিলুর রহমান, ড. সাহিদা রফিক, ড. মো: হায়দার আলী, প্রফেসর একেএম আজহারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর কেএএম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, প্রকৌশলী কাজী এম. সুফিয়ান, ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. মোখলেছুর রহমান, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. লায়লা নুর ইসলাম, ড. ইয়ারুল কবির, ড. মামুন আহমেদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. সামসুল আলম, ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, কবি আল মুজাহিদী, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবু সালেহ, বাছির জামাল, একেএম মহসিন, মির আহমেদ মিরু, ড. লুতফর হমান, ড. তাসলিমা মানসুর, ড. মোরশেদ হাসান খান, ড. মো: মোজাম্মেল হক, ড. মাহফুজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন, প্রফেসর শাহ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর আসমা সিদ্দিকা, ড. সৈয়দা আফরোজা মামুন, কৃৃষিবিদ আনোয়ারুনবী বাবলা, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, প্রফেসর মো: শহিদুর রহমান, প্রফেসর এনামুল হক, প্রকৌশলী কাজী মো: সুফিয়ান, ড. মোহসিন জিল্লুর করিম, প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ, প্রকৌশলী মমতাজ আহমেদ, প্রকৌশলী আল আমিন, প্রকৌশলী আসাদ চুন্নু, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ একরামুল হক, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, রাশেদুল হাসান হারুন, খন্দকার আসাদুজ্জামান কিটন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক শাহনাজ সরকার রানু, মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার, প্রফেসর সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর আতিকুর রহমান, প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ ক ম আবদুল কাদের, প্রকৌশলী মো: মাহফুজ, প্রকৌশলী মো: মালেক, প্রকৌশলী কাজী মেজবাহ, প্রকৌশলী মোসলেহউদ্দিন, প্রকৌশলী আল আমিন, ডা. ইফতেখার লিটন, ডা. বেলায়েত হোসেন,ডা. আবদুল মোতালেব, ডা. জসিম উদ্দিন, ডা. বদিউল আলম, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আবুল কাশেম, এ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, প্রকৌশলী মাসুদুল হক খান, প্রকৌশলী হাসান পারভেজ, প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ড. মো. গোলাম আরিফ কেনেডি, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধূরী, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আনম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, সামশুল হক হায়দরি, জাহিদুল করিম কচি, ইসকান্দার আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ডা. মোহাম্মদ ঈসা, প্রকৌশলী সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম, প্রফেসর নসরুল কবির, প্রফেসর মাহফুজ পারভেজ, শামসুদ্দিন হারুন, অধ্যাপক ড. এমএ বারী মিয়া, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শহিদুল হক, বেলাল হোসেন, ড. মো. মিজান, প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ডা. এ এ গোলাম মুর্তজা হারুন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবীর ভূঁইয়া, ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, ফয়সাল আকবর, মনির খান, রিজিয়া পারভীন, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন, অধ্যাপক আবদুল হাকিম, অধ্যাপক রাকিব উদ্দীন, অধ্যাপক কাজী মাইন উদ্দীন, অধ্যাপক রোকেয়া চৌধুরী, শরুফুজ্জামন জাহাঙ্গীর, এ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ফয়সাল আকবর, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, শাহাবুদ্দিন শিকদার, রফিক মোহাম্মদ, শাহীন হাসনাত, এরফানুল হক নাহিদ। এছাড়া বার্তা প্রেরক রফিক মোহাম্মদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
আইএ