ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

১৪ দলকে আরও সংগঠিত করে মাঠে রাখার পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৫
১৪ দলকে আরও সংগঠিত করে মাঠে রাখার পরামর্শ

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে আরও সংগঠিত করে মাঠে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা।

শনিবার (০২ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।



সভায় সদ্য সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোটগতভাবে প্রার্থী সমর্থন এবং নির্বাচনে অংশ না নিতে পারার বিষয়েও সমালোচনা করেছেন জোটের নেতারা।

সভা শেষে জোটের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, জোটের নেতারা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো, প্রকৃতভাবে অংশ নেওয়ার জন্য নয়। তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার নির্বাচনের দিন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। গত তিন মাসের বেশি সময় তারা আন্দোলনের নামে যে সহিংতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে তা থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্য দিকে ঘ‍ুরাতে তারা এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এই রাজনৈতিক কৌশল জনগণ বুঝতে পেরেছে।

বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণকে যাতে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য ১৪ দলকে আরও সংগঠিত হয়ে মাঠে থাকা জরুরি বলে সভায় আলোচন‍া হয়।
 
স‍ূত্র জানায়, সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি-জামায়াত জোট সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে পালিয়েছে।

১৪ দলের অপর শরিক ন্যাপের সাধারণ সম্পাদদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, ১৪ দলকে আরও সংগঠিত করে মাঠে রাখতে হবে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিল পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা জনগণের সমস্যায় যেন পাশে থাকেন, সেদিকেও লক্ষ রাখার পরামর্শ দেন জোটের নেতারা।
 
স‍ূত্র আরও জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজও করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ১৪ দলের কোনো জোটগত কোনো সমর্থন বা সিদ্ধান্ত ছিলো না। শুধু তাই নয় ১৪ দলের শরিক জাসদের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী ছিলো, এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী ছিলো। এ বিষয়গুলো নিয়ে জোটে কোনো আলোচনাও হয়নি। আগামীতে এ ধরণের পরিস্থিতি যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ হয় সভায়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাসদ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দুই দিন আগে ঢাকা দক্ষিণের জাসদ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নির্বাচন থেকে বসে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে সক্রিয় ছিলেন।

সভায় ১৪ দলের শরিক জাসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এসকে/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।