বরিশাল: বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্র ও বহিরাগতসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১১টা ও সাড়ে ১২টায় পৃথক এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কলেজ ছাত্রাবাসের তিন শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অভিক (২০), তামিম (২০) ও মহসিন (২২)। এরা সবাই কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত ১১টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে ইমন নামে এক বহিরাগত সোহাগ, জসিম, সাইদুলসহ ১০-১২ জনকে নিয়ে ছাত্রাবাসের ভেতরে ঢোকে। তারা ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় তলার ২০১ নম্বর কক্ষে ঢুকে মাদক সেবন করার প্রস্তুতি নেয়।
এ সময় ওই কক্ষের ছাত্র জহিরুল ইসলাম তামিম তাদের বাধা দিলে বহিরাগতরা তামিমকে মারধর করে ও তার রুমে থাকা কম্পিউটার ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে।
এ খবর ছাত্রাবাসে ছড়িয়ে পড়লে, বহিরাগতদের ধাওয়া দিয়ে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে ছাত্রবাসের সামনে হোস্টেলে থাকা ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের মধ্যে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ইমন, জাহিদ, সবুজ, মারজানসহ কয়েকজন বহিরাগত হামলার শিকার হন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে বহিরাগতরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রবাসের ছাত্রদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে আহত তামিমকে হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে রাত ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বান্দরোড ও জরুরি বিভাগের সামনে বহিরাগত ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন অভিক (২০) ও মহসিন (২২) নামে অপর দুই ছাত্র। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৫
আরএ