বগুড়া: সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার (০৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ খোকন পার্কে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসিম বলেন, ২০১৯ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে বিএনপিকে। তখন খেলা হবে মাঠে।
বিএনপি’র কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি জনগণ থেকে চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, নির্বাচনে তার দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র পাহারা দেবেন। কিন্তু দুপুর ১২টা না বাজতেই মাঝপথে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তারা। মানুষ পুড়িয়ে মারলে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। আর জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফলতাও পায় না।
আওয়ামী লীগ কাজ করেছে, তাই মানুষ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আমাদের প্রার্থীরাই জয়লাভ করেছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষিসহ প্রায় সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পথে। এর ফলে বিগত ৬২ বছরের সমস্যা সমাধান হতে যাচ্ছে, বলেন নাসিম।
এর আগে দুপুর ১২টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্রছাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে, আগামী দিনেও করবে। আগামী দিনে গণতন্ত্র রক্ষায় ও অপরাজনীতি মোকাবেলা করতে ছাত্রলীগ রাজপথে থাকবে।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে অবরোধ ও হরতালের নামে পেট্রোল বোমা মেরে যত মানুষ হত্যা করা হয়েছে, ছাত্রলীগ সরকারের কাছে তার উপযুক্ত বিচার দাবি করছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগকে নানা সমালোচনায় জড়ানোর অপচেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু ভবিষ্যতে ছাত্রলীগকে আঘাত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, বলেন তিনি।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরোর পরিচালনায় ও সভাপতি আল রাজী জুয়েলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিন আহম্মেদ, মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সুমন কুণ্ডু, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল হক পান্না, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ বিল্লাহসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মাশরাফি হিরো বাংলানিউজকে জানান, সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে জেলা ছাত্রলীগের ১৯ জন তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। সম্মেলনে ২০টি ইউনিটের ৬০৬ জন কাউন্সিলরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কাউন্সিলররা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ০৭ মে, ২০১৫
আরএম