ঢাকা: শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ভর্তিবাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্র মিশন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় লেবার পার্টির ছাত্র সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর ছাত্র মিশনের আহ্বায়ক সৈয়দ মো. মিলনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লেবার পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফারুক রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্র মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ।
বক্তব্য রাখেন ছাত্র মিশনের সাধারণ সম্পাদক জাবের হোসাইন, নগর সদস্য সচিব ইমরান হোসেন, সাংগঠনিক সচিব মেহেদী হাসান, মতিঝিল থানা আহ্বায়ক তপন কুমার, পল্টন থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল সরকার, সদস্য সচিব তানভির হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মো. ফারুক রহমান বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অন্তঃকোন্দলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জীবন দিচ্ছে। সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই ছাত্রলীগকে ৠাব ও পুলিশের মতো পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে দেশের ছাত্র সমাজের মেধা ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যৌন সন্ত্রাসের বিচার করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট ও ডাইনিংয়ে খাবারের নিম্নমানের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সংকটাপন্ন।
তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অছাত্রদের দিয়ে ছাত্র-রাজনীতির চর্চা করছে। ডাকসু, রাকসুসহ ছাত্র সংসদগুলোর নিয়মিত নির্বাচন না হওয়ায় যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী একগুঁয়ে কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
লেবার পার্টির এ নেতা বলেন, খুন-গুম, হামলা-মামলা, গ্রেফতার নির্যাতন নিপীড়নের কারণে জনমনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়তে সৎ সাহসী ও মেধাবী ছাত্রনেতৃত্ব তৈরি করতে ছাত্র মিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।
সভায় ছাত্র মিশনের কর্মকাণ্ড বেগবান করতে আগামী ১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সাংগঠনিক পক্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৫
এইচএ