ঢাকা: ভূমিকম্প-বন্যা-ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্র (এনডিআরসিসি)। দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্রের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী দুর্যোগ মোকাবেলায় ত্রাণ তৎপরতাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় সরকার।
সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড় ও ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্র। সচিবালয়ে চার নম্বর ভবনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত পঞ্চম তলায় জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্রটির অবস্থান।
দুর্যোগ সাড়াদান কেন্দ্রের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী, ১৩ পদের বিপরীতে বর্তমানে রয়েছে মাত্র ছয় জন। এই ছয়জন দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা এনডিআরসিসি পরিচালিত হচ্ছে। এতে বাড়তি চাপ পড়ছে তাদের ওপর। বাড়তি চাপ নিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ছয় জন।
এনডিআরসিসি’র অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিনজন, ইঞ্জিনিয়ার সুপারভাইজার একজন, বেতার যন্ত্রবিদ তিনজন, কম্পিউটার অপরটর একজন, অফিস সহকারী একজন, ড্রাফটম্যান একজন, টেলিফোন অপারেটর দু’জন এবং এমএলএসএস একজন করে থাকার কথা।
কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার সুপারভাইজার ও বেতার যন্ত্রবিদের পদ পূরণ থাকলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দু’টি, টেলিফোন অপারেটরের একটি, কম্পিউটার অপরেটর ও ড্রাফটম্যানের পদ শূন্য রয়েছে। এমএএসএস পদে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে একজন ধার করে নেওয়া হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার সুপারভাইজার ও টেলিফোন অপারেটর পদের জনবল নারী হওয়ায় তারা শুধু দিনের বেলা ডিউটি করেন। একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেশিরভাগ সময় রাতে ডিউটি করেন।
বাকিদের করতে হচ্ছে দিন-রাত ডিউটি। এতে তারা বাড়তি চাপ নিচ্ছেন। সম্প্রতি দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় এবং ভূমিকম্পের আঘাতের পর একটু বেশি চাপ পড়েছে তাদের ওপর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখীর পর গত ২ এপ্রিল থেকে টানা ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হচ্ছে এনডিআরসিসি। এই কেন্দ্রে ল্যাপটপ ১০টি, ডেস্কটপ কম্পিউটার দু’টি ও ৬টি টেলিভিশন চালু আছে।
চারটি টেলিফোন নম্বর, তিনটি ফ্যাক্স এবং ই-মেইলের ([email protected])
মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এনডিআরসিসি। এছাড়া মনিটরিং করা হয় ছয়টি টেলিভিশন।
দিনের বেলা প্রতি শিফটে ৩/৪ জন করে দায়িত্ব পালন করলেও রাতের বেলা একজন দিয়ে তা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্রের জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কামরুল হাসান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এনডিআরসিসি’র অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন করে শিগগিরই লোকবল বাড়ানো হবে।
বন্ধ মোবাইল নম্বর
এনডিআরসিসি’র চারটি টেলিফোন নম্বর (৯৫৪৯১১৪, ৯৫৪৯১১৫, ৯৫৪৯১১৬ ও ৯৫৪০৪৫৪) থাকলেও মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে মাত্র দু’টি (৯৫৪৯১১৫, ৯৫৪৯১১৬)। একটি টেলিফোন নম্বর (৯৫৪৯১১৪) মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা চতুর্থ তলায় নিয়ে গেছেন।
ওই কেন্দ্রের ফ্যাক্স নম্বর তিনটির (৯৫৪৯১৪৮, ৯৫৪০৫৬৭, ৯৫৭৫০০০) মধ্যে একটি (৯৫৭৫০০০) ওয়েবসাইটে দেওয়া নেই।
২০০৯ সালে সিডিএমপির অধীনে পঞ্চম তলায় রুম ডেকোরশনের সময় একটি মোবাইল সরবরাহ করা হলেও সে নম্বরটি (০১৭৫৫৫৫০০৬৭) বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৪
এমআইএইচ/জেডএস