ঢাকা: অবশেষে তৃণমূলের ক্ষয়ক্ষতির খবর নিতে উদ্যোগী হয়েছে বিএনপি। প্রয়োজনের সময়ে খোঁজখবর না নেওয়া ও প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিলো তৃণমূলে।
এ নিয়ে দলের ভেতরেই নানামুখী সমালোচনা ও দাবির প্রেক্ষিতে দেরিতে হলেও নড়েচড়ে বসে বিএনপির হাইকমান্ড। আন্দোলনে ক্ষান্ত দিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘরে ফেরার প্রায় ৪০ দিন পর তার দল তৃণমূলের খোঁজ নিতে উদ্যোগী হয়।
দলীয় সূত্র বলছে, টানা অবরোধ ও দফায় দফায় দেওয়া হরতালে হতাহত ও মামলায় খাঁড়ায় পড়া নেতাকর্মীদের তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দলের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি সব মহানগর, ৭৬টি সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা ও থানা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় দেওয়া এই চিঠিতে কেন্দ্র ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান।
দলীয় সূত্র জানায়, সব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো এ চিঠিতে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের বিষয়ে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে কে, কোন দিন, কোথায়, কীভাবে, কার হাতে মারা গেছে বা পঙ্গু হয়েছে এবং কে, কোথা থেকে, সন্দেহভাজন কার হাতে অপহৃত হয়ে গুম হয়েছে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান তৃণমূলে যোগাযোগ রেখে চিঠির বিষয়েও কথা বলছেন। এসব চিঠির চাহিদানুসারে যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট তথ্য কেন্দ্রকে দিতে তৃণমূলকে নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। সঠিক তথ্য পেতে তৃণমূলের কী করতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দিচ্ছেন মো. শাহজাহান।
বলা হচ্ছে, এতো দিন ধরে আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে খোদ বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও অগোছালো বক্তব্য দিলেও এবার তারই নির্দেশনায় সঠিক তথ্য পেতে চিঠি দিলেন ড. রিপন। মো. শাহজাহানের তত্ত্বাবধানে অল্প সময়ের মধ্যেই তৃণমূল বিএনপি কেন্দ্রকে এ বিষয়ে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দলীয় সূত্র বলছে, সঠিক এ তথ্য পেলে আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সুবিধা হবে কেন্দ্রীয় বিএনপির। বিশেষত, নিহত-গুম-কারারুদ্ধ নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করতে পারবে। পাশাপাশি কারারুদ্ধদের মুক্ত করতে এবং মামলার আসামিদের মামলা থেকে ছাড়িয়ে নিতেও সহজে কাজ করতে পারবে কেন্দ্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি একেবারেই দলীয় ও গোপনীয়।
তবে রিপোর্টটি লেখার সময় পর্যন্ত কোনো তৃণমূল নেতাই কেন্দ্রের এই চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
এমএম/এইচএ/জেডএম