ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

নেতাকর্মী নেই, জমছে না নয়াপল্টন

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫
নেতাকর্মী নেই, জমছে না নয়াপল্টন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: দলের পদধারী ও পরিচিত নেতাকর্মীরা না আসায় জমে উঠছে না নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সোমবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের মাঝে।



সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় উন্মুক্ত করে দেয় সরকার। কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় পুলিশ। সরিয়ে নেওয়া হয় এপিসি, রায়টকার, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান।

নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে দৃশ্যমান কোনো বাধাও নেই। এ পরিস্থিতিতে দলীয় কার্যালয়মুখী হতে নেতাকর্মীদের অনীহা চোখে পড়ছে দৃষ্টিকটুভাবে।

যেদিন কার্যালয়ে দলের সংবাদ সম্মেলন থাকে সেদিনই যা অল্প কয়েকজন নেতাকর্মীকে  দেখা যায় নয়াপল্টনে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন শেষ হলেই আর কার্যালয়ে অবস্থান করছেন না নেতাকর্মীরা। ফলে আগের মতই শূন্য পড়ে থাকছে নয়াপল্টন।

সোমবারের সংবাদ সম্মেলন আসা নেতাকর্মীরাও এ ব্যাপারে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে। এমনকি পহেলা বৈশাখে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষ্যেও নয়াপল্টনে পা পড়েনি বেশিরভাগ পরিচিত মুখের।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে জাসাস আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে বহুদিন বাদে নয়াপল্টনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই দিন দলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতা ছাড়া পরিচিত কোনো নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি সেখানে। নেতাকর্মীরা না আসলেও খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে কার্যালয়ে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

ইদানীং নয়াপল্টনে শুধু বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে দলের সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম অন্যতম।

নয়াপল্টনে মূল বিএনপির অফিসের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়গুলোরও একই অবস্থা। এগুলোর দরজাও বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে।
 
তবে এ বিষয়ে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি বাংলানিউজকে বলেন, নেতাকর্মীরা মাঝে-মধ্যে কার্যালয়ে আসেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা এখন গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা জামিন নিতে আদালতে ধর্ণা দিচ্ছেন। এজন্য কার্যালয়ে তারা নিয়মিত আসতে পারছেন না বলে দাবি করেন আব্দুল লতিফ জনি।  

সবকিছু মিলিয়ে সরকার বিরোধী অান্দোলনে মুখ থুবড়ে পড়া বিএনপির সাংগঠনিক দৈন্যদশার প্রকৃত চিত্র যেন নেতাকর্মী শূন্য নয়াপল্টন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫
এমএম/বিএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।