ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আ’লীগের ৭ দিনের কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আ’লীগের ৭ দিনের কর্মসূচি

ঢাকা: ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ৭ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে সদস্য সচিব করে একটি উদযাপন কমিটি করা হয়েছে।



সোমবার (১১ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

নাসিম জানান, আগামী ১৬ মে বিকেল ৩টায় রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

১৭ মে দিনের শুরুতে সারা দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর সকাল ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন, জানান নাসিম।

১৮, ১৯, ২০ ও ২১ মে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন নানান কর্মসূচি পালন করবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া ২২ মে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে। র‌্যালিটি বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, আপনি, আপনার স্বামী ও দল বলেছিলো, ইন্দিরা-মুজিব গোলামী চুক্তি। আপনাদের তথাকথিত গোলামী চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অথচ যার নেতৃত্বে এ বিজয় অর্জন হয়েছে তাকে অভিনন্দন জানাননি। এটা সংকীর্ণ মনমানসিকতার পরিচয়। এর জবাব জনগণ দেবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সবক্ষেত্রে পরাজিত হয়েছেন। আন্দোলনের মাঠে নাশকতা করতে গিয়ে পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়েছেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী প্রমুখ।

 বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
এসইউজে/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।