জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের অতিথি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক শাওন, মো. শাহজাহান বাদশা, তাদের এক বান্ধবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী শহীদ রফিক-জব্বার হলের অতিথি কক্ষে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য কামরুল হাসান (আইন ও বিচার, ৪১ তম ব্যাচ) অতিথি কক্ষে এসে কোনো কারণ ছাড়াই তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন।
তারা কামরুল হাসানের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে কামরুল হাসান শাহজাহান বাদশাকে কিল-ঘুষি মেরে চলে যান।
কিছুক্ষণ পর কামরুল হাসানের নেতৃত্বে হলের ছাত্রলীগ কর্মী এবং আইন ও বিচার বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজিউল হাসান পিয়াল, মো. আল-আমিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শরীফ হোসেন লস্কর এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ৪২তম ব্যাচের আসাদুজ্জামান আবির রড, স্ট্যাম্প দিয়ে শাহজাহান বাদশাকে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক ও ওই ছাত্রী বাধা দিতে গেলে তারাও আক্রমণের শিকার হন।
পরে হলের শিক্ষার্থীরা শাহজাহান বাদশা ও ইন্দ্রজিৎ ভৌমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রিজওয়ানুর রহমান আহত শাহজাহান বাদশাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে কামরুল হাসান বলেন, তারা অতিথি কক্ষের সোফায় পা তুলে বসেছিল। হলের সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাদেরকে ঠিকঠাক হয়ে বসতে বললে তারা আমাকে আঘাত করে। এতে আমাদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আহত ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
শহীদ রফিক-জব্বার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নওশেদ আলম অনিক বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
ওও/জেডএস