লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সদর উপজেলার যুবলীগকর্মী ফখরুল ইসলাম বুলেটকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে এক সন্দেহভাজনকে।
শনিবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারের খান মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
আটক আপেল (২৮) সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজিচওড়া গ্রামের আনসার সদস্য ইসরাইলের ছেলে।
নিহত বুলেট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনিপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এনামুল হকের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, মহেন্দ্রনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে বুলেটের সঙ্গে বিরোধ সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী, একাধিক মামলার আসামি আমিনুর ইসলাম খানের।
এরই জের ধরে শনিবার রাতে আমিনুর খান মহেন্দ্রনগর বাজারের নিজস্ব খান মার্কেটে ফোনে ডেকে নেন বুলেটকে। সেখানে একটি কক্ষে বুলেটকে আটকে রেখে হাত ও পায়ের রগ কেটে পিছনের বাঁশঝাড়ে ফেলে পালিয়ে যায় আমিনুর গং।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে বাঁশঝাড় থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় বুলেটকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাত ভাই লোটাস সরকার আমিনুর খানকে দায়ী করে বাংলানিউজকে বলেন, এমন কোনো কাজ নেই আমিনুর খান পারেন না। তার নামে অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে। মহেন্দ্রনগর বাজারে আমিনুর খানের বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধা দিতো বুলেট। তাই একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য বুলেটকে হত্যা করেছে আমিনুর খান।
এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ রাতেই আপেল (২৮) নামে আমিনুর খানের এক সহযোগীকে হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করেছে। বুলেটের মরদেহ সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। রোববার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম মাহফুজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
এএ
** লালমনিরহাটে যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা