ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগ নেতাকর্মীদের হাতে বগুড়ার ইউএনও লাঞ্ছিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
আ’লীগ নেতাকর্মীদের হাতে বগুড়ার ইউএনও লাঞ্ছিত

বগুড়া: বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহানা আকতার জাহানকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত ও তার অফিস কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

রোববার (২৮ জুন) বেলা ৩টার দিকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মস‍ূচির (কাবিখা) ডিও (ডেলিভেরি অর্ডার) আটকে রাখার অভিযোগে এই ঘটনা ঘটানো হয়।


 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের বারেকের দোকান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ থেকে দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়ক পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজের জন্য চলতি অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ৪টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।  
 
এই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু কাজ করার জন্য প্রথম কিস্তিতে ২টন চাল উত্তোলন করেন। কিন্তু এই রাস্তায় এর আগে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সংস্কার কাজ হওয়ায় তাকে আর নতুন করে কাজ করাতে হয়নি।
 
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ আসে। ফলে এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার নামে বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় কিস্তির ২টন চালের ডিও (ডেলিভেরী অর্ডার) আটকে দেন।
 
এরই জের ধরে রোববার (২৮জুন) দুপুরে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে যান এবং তার নামে বরাদ্দকৃত চালের ডিও নেওয়ার জন্য হৈচৈ শুরু করেন। পরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাকে ডিও’র ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়
 
ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু বাংলানিউজকে জানান, বেলা ৩টার দিকে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিকসহ দলীয় লোকজন নিয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহানা আকতার জাহানের কার্যালয়ে যান।
 
এ সময় তার কাছে ডিও আটকে রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দিকে ফাইল ছুড়ে মারেন।

ইউ‌এনও‘র এমন আচরণে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসের ফুলদানী এবং টি-টেবিল ভাঙচুর করেন বলে দাবি করেন বাচ্চু।
 
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক বাংলানিউজকে জানান, যুবলীগ নেতা মামুনের সঙ্গে ইউএনও’র কক্ষেই ইউএনওর তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এমনকি ঘটনার এক পর্যায়ে ইউএনও তাকে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বললে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় ইউএনও তার টেবিলে রাখা বিভিন্ন ফাইলপত্র ছুড়ে মারেন।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শাহানা আকতার জাহান বাংলানিনউজকে বলেন, ডিও’র (ডেলিভেরী অর্ডার) ব্যাপারে জানতে এসে কক্ষে আগে থেকে বসা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান শফিক বের হয়ে যেতে বলেন। এতে তিনি আপত্তি জানালে তারা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে ফুলদানি ছুড়ে মারেন এবং তার অফিস কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
এমবিএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।