ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘শিশুতোষ বক্তব্য’ বন্ধ হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ‘আসল বিএনপি’র মুখপাত্র ও বিএনপি পুনর্গঠনের নেতা দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) আসল বিএনপির সংকটকালীন সদস্য আব্দুল মান্নানের পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কামরুল হাসান নাসিম বলেন, দলের ভারসাম্য রাখতে বিএনপির ‘অবৈধ চেয়ারপারসন’র শিশুতোষ বক্তব্য বন্ধ হওয়া জরুরি। এতে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি করার পর্যায়ে থাকা দায় হয়ে পড়ছে। দলের পক্ষে নয়াপল্টন থেকে ড. আসাদুজ্জামান রিপন যেমন-তেমন কিছুটা অর্থবহ কথা বলছেন, কিন্তু অবৈধ, ব্যর্থ, অপশক্তির ধারক হয়ে পড়া আমাদের দলের ‘মা’ আর সুস্থ কথায় ফিরতে পারছেন না। তার চিকিৎসা করতে হবে সবার আগে। একজন জাতীয় নেতার চরিত্রে তিনি এখন আর নেই।
বার্তায় আসল বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অনেকেই ভাবছেন বুলি আওড়াচ্ছেন কামরুল হাসান নাসিম। কীসের পুনর্গঠন? আমি নিশ্চিত করতে চাই, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দলের প্রাণ নয়াপল্টন কার্যালয়ে বিএনপিকে জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি করতে দেখা যাবে। তবে হালের শেষ খবর অনুযায়ী- আমাদের অবৈধ অভিভাবক খালেদা জিয়ার বড় বড় শক্ত বুলি বন্ধ হওয়া দরকার। তিনি কথায় কথায় গণঅভ্যুত্থান খুঁজছেন- কিন্তু সেটি করার জন্য কার্যত আমরা প্রস্তুত নই। বরং ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খুব দ্রুত জনগণের জন্য অর্থনৈতিক লক্ষ্য দাঁড় করানোই আমাদের আসল নীতি হওয়া উচিত।
কামরুল হাসান নাসিম আরও বলেন, দলের পক্ষ থেকে নয়াযাত্রায় আমি শুরুতেই বলেছিলাম, বিএনপির অসুখ হয়েছে। কিন্তু এখন বলছি- রোগ নির্ণয় করা গেছে। এখানে ২ থেকে ৪ জন ব্যক্তির ‘ভাইরাস’ ভূমিকা বিএনপিকে মূল ধারার রাজনৈতিক শক্তি থেকে ‘অপশক্তি’ করে ফেলেছে। স্বভাবতই বছরের শুরুতে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ছাড়লেও ঈদের পরই এলোপ্যাথি ছাড়া হবে।
তিনি বলেন, মনের বাসনায় শুধু ‘ক্ষমতা’র স্বাদ বড় করে দেখলে এখন আর চলবে না। উচিত হবে- বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত ভিশন দাঁড় করানো এবং সেখানেই কেবল আমাদের দলের উপর আস্থা যদি তারা রাখতে পারে, তবে দেশের সেবায় নেমে পড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
এইচএ/