ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচনের স্থায়ী রূপরেখা দিলেন হুদা

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৫
নির্বাচনের স্থায়ী রূপরেখা দিলেন হুদা ছবি: সোহাগ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজনীতি ও সুশাসনের ভিত্তি হিসেবে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্থায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ)।  

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব লাউঞ্জে জোটের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এ তথ্য জানান।



তিনি বলেন, দেশে রাজনীতি ও সুশাসনের ভিত্তি হিসেবে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ, জাতীয় পরিচয় পরিচয়, নির্বাচনী ব্যয় সংকোচন, সার্বক্ষণিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নিরপক্ষে ও শক্তিশালী নিবার্চন কমিশন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যনাল গঠন জরুরি।

‘তবেই  সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব, আর এটাই নির্বাচনের স্থায়ী রূপরেখা,’ বলেন নাজমুল হুদা।

ভোটার তালিকা বিষয়ে সাবেক এই বিএনপি নেতা বলেন, সাতদিনেই একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব।

‘এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যসহ যারা নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তাদের (পরাজিতসহ) দিয়ে একটি একটি গঠন করে একাজ করা যেতে পারে। ’

তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয় সংকোচন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে নির্বাচনী ক্যাম্প এবং তা ১০দিনের বেশি রাখা যাবে না। পোস্টারিংও হবে শুধু স্থানীয় বাজারগুলোতেই।

সার্বক্ষণিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, যারা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক থাকবেন, তারা যদি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন তাহলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব।

‘নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে একটি নিরপেক্ষ এবং  শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) দরকার। ওই কমিশনকে নিজস্ব শক্তিতেই পরিচালিত হতে হবে,’ নিরপেক্ষ ইসি প্রসঙ্গে বলেন তিনি।

নাজমুল হুদা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও সহজ করতে হবে। পাশাপাশি তা কতটুকু বাস্তবমুখী তাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ওই ট্রাইব্যনালকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। তবে এই ট্রাইব্যুনালের সময় সীমা তিনমাসের বেশি  হবে না।

বিএনএ-এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, গণতন্ত্র সুরক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারি-বিরোধীদলের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

এজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির গঠনতন্ত্রেও আমূল পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন তিনি।

জোটের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজম‍ুল হুদার সভাপতিত্বে বিএনএ-এর কো চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি, জোটের মহাসচিব সেকান্দর আলী মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ও বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপনের বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে তাদের দেখা যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
এমএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।