বান্দরবান: পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের ২১ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ জুলাই) রাতে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. মজিবর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, সহ-সভাপতি ইসলাম বেবীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল আলম রুমু, মো. ইমরান উদ্দিন বাবু, সাইফুল ইসলাম, আরিফ, ফরহাদ হোসেন, রুবেল, রোকন, তারেক, এন এ জাকির, শিমুল দাশ, পলাশ, পংকজ , বাবু, তাপস দাশ, রাজু, রনি মল্লিক, মেহেদি হাসান মানিক, জলিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইব্রাহীম, যুবলীগ নেতা বাপ্পি মল্লিক ও মোমেন।
তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল আলম রুমু, জাকির হোসেন, মো. আরিফ, সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা বাপ্পি মল্লিক, সোহরাব হোসেন কুট্টি ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. ইব্রাহিম বর্তমানে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
এদিকে, দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনে হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে তারা লিখিতভাবে ও স্বশরীরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু সম্মেলনে হামলার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও দলীয় কোন্দল তৈরি হওয়ায় ২১ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান চৌধুরী (রাশেদ) জানান, ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ০৬ জুন রাজার মাঠে আয়োজিত সম্মেলন চলাকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগের একাংশ হামলা চালায়। এ হামলায় সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায় ও উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতাকর্র্মীরা কমিটি ঘোষণা না করেই পুলিশী পাহারায় বান্দরবান ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
এসএস