ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ঈদের পর সৌদি আরব যাবেন খালেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৫
ঈদের পর সৌদি আরব যাবেন খালেদা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

ঢাকা: অনিবার্য কারণে পূর্বনির্ধারিত যাত্রা বাতিল করলেও ঈদের পর ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজকীয় আমন্ত্রণটি এখনো বহাল রয়েছে।


 
বৃহস্পতিবার(৯ জুলাই’২০১৫) দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ-তথ্য জানান বিএনপির মুখপাত্র ডা. আসাদুজ্জামান রিপন।
 
তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে রোজার শেষ ১০দিন পবিত্র মক্কা-মদিনায় কাটানোর কথা ছিলো বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। সব প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সৌদি আরব যাত্রা বাতিল করেন। তবে সৌদি রাজপরিবারের আমন্ত্রণটি এখনো বহাল আছে। তাই ঈদের পর সুবিধাজনক সময়ে খালেদা জিয়া সৌদি আরব যাবেন।

রিপন বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে কারাগারে রেখে খালেদা জিয়া ওমরাহ পালনে যেতে চাচ্ছেন না। দলের এক নেতা ক’দিন আগে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় লাশ হয়ে বেরিয়েছেন। এসব বিষয়েও তার মন ভাল নেই।
 
তিনি আরও বলেন, ওমরাহ পালন আমাদের চেয়ারপারসনের একান্তই ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিষয়। এ নিয়ে আমরা কিছু বলতেও আগ্রহী নই। তাছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছু জানিও না। তবে  বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা রকম সংবাদ পরিবেশন হওয়াতে আমরা এর ব্যাখ্যা দিচ্ছি।
 
জাতীয় সংসদে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিপন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার পিতার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর জিয়াউর রহমান তাকে দেশে ফিরতে বাধা সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য অসত্য। বরং জিয়াউর রহমান তাকে দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে দেশে আনার জন্য ঘন ঘন ভারত  গেছেন। জিয়াউর রহমানই এ সুযোগ করে দিয়েছেন।

জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিয়ে কোনো দলকে দমন বা কোনঠাসা করার পক্ষপাতি ছিলেন না। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে শেখ মুজিবের বিলুপ্ত করা বহু ধারায় বিভক্ত আওয়ামী লীগকে পুনর্জীবনদান ও নতুন করে রাজনীতি করার সুযোগ  দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পরিবর্তে শেখ হাসিনা বিনাভোটের সংসদে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অসত্য তথ্য ও কুৎসা রটনা করছেন। এ অসত্য তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

রিপনের অভিযোগ, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও সেখানে অনুপস্থিত বিএনপির চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নানান মানহানিকর বক্তব্য রাখছেন। তার ভাগ্নি টিউলিপ বৃটিশ সংসদে যাতে নির্বাচিত হতে না পারে, সেজন্য নাকি তারেক রহমান সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।
 
তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করেন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে কে বৃটিশ নাগরিক পার্লামেন্টে নির্বাচিত হবে, কে হাউজের ডেপুটি লিডার হবে; তা নিয়ে তারেকের ভাবার কোনো অবকাশ নেই। এতে তার নাকগলানোও সম্ভব না। এসব তিনি করেনও না।

তিনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন ও বিএনপি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ অভিযোগ শুধু অসত্যই নয়, রীতিমত হাস্যকরও, বলেন রিপন।   
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম রেজা হাবিব প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫/আপডেটেড- ১৫০৯ ঘণ্টা
এজেড/এনএস/জেএম


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।