ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পৌর নির্বাচন

ত্রিশালে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর স্বজনদের ওপর হামলার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
ত্রিশালে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর স্বজনদের ওপর হামলার অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, তাকে লক্ষ্য করে গুলি করার পর এবার তার স্ত্রী, বোন ও ভাইদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ত্রিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একেএম মাহাবুবুল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আকন্দ, সাবেক প্যানেল মেয়র গোলাম মোস্তফা সরকার, উপজেলা প্রজন্ম লীগ সভাপতি ইব্রাহিম খলিল নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আনিছুজ্জামান অভিযোগ করেন, সকাল থেকে দুপুর নাগাদ কয়েক দফায় পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে তার স্ত্রী, বোন ও ভাইদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর আগের রাতে তার ওপর গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসীলা।

তিনি বলেন, সব জায়গায় আমার প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জুয়েল সরকারের বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকারের লোকেরা। ৮ নং ওয়ার্ডে আমার সক্রিয় কর্মী উজ্জ্বলকে বিস্ফোরক মামলার আসামি করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনোদিন একটি জিডিও ছিল না। দর্জির কাজ করে সে জীবন নির্বাহ করতো।

তার অভিযোগ, নির্বাচনে কোনো কর্মী তার সঙ্গে কাজ করলেই তাদের উজ্জ্বলের মতো পরিণতি ভোগার হুমকি দিচ্ছেন মতিন সরকার।

নিজের ওপর হামলার বর্ণনা দিয়ে আনিস বলেন, শুক্রবার রাতে ৯ নং ওয়ার্ডে একটি উঠোন বৈঠক শেষে ফেরার পথে মতিন সরকারের সন্ত্রাসী অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসায়ী চ্যাপা সুমনের নেতৃত্বে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। সৌভাগ্যক্রমে আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দিয়েছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাহার হিসেবে গণ্য করেননি। এখন পর্যন্ত কোনো রকম প্রতিকার আমরা পাইনি।

নিজের স্ত্রী ও বোনদের ওপর হামলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, শনিবার সকালে ৯ নং ওয়ার্ডে ভোট চাইবার সময় আমার স্ত্রী ও বোনদের নৌকার প্রার্থী জুয়েলের নেতৃত্বে প্রথমে বাধা দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মারপিট করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল, সোনার গলার চেইন ও আংটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আনিছুজ্জামান বলেন, মতিন সরকারের লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে নদীর এপারে ৩টি ওয়ার্ডে আমার কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ত্রাসী চ্যাপা সুমন, আলাল ও গোলাম মোস্তফা মস্তুসহ বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে তারা ৪, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ভীতিকর এবং নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি করছে।

তিনি আরও বলেন, আমার কর্মীদের সেখানে ভোট চাইতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমার কোনো এজেন্ট কেন্দ্রে থাকতে দিবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেবে না। নিজেদের ইচ্ছেমতো ভোট দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। তাদের মুখে হাসি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।