ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার বাসভবন ঘেরাও

পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ডাকে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে গুলশান-২ গোল চত্বর থেকে তার বাসভবন পর্যন্ত তিনস্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই গুলশান-২ গোল চত্বর মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

রাস্তার দুই পাশে তিন স্তরে অবস্থান নিয়ে দাঁ‍ড়িয়ে আছেন পুলিশ সদস্যরা।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার কটূক্তি করার প্রতিবাদে তার বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সকাল সোয়া দশটা থেকে নির্মূল কমিটির নেতাকর্মীরা গুলশান-২ গোল চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

ডিএমপি’র গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাফিজুর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পুর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এখানে মুক্তিযোদ্ধা ও নির্মূল কমিটির নেতাকর্মীরা এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের এ কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপির নেতারা যে কটূক্তি করেছেন, এর জন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে যারা অস্বীকার করেন, তারা বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন। এজন্য আইন তৈরি করে এই দেশদ্রোহীদের বিচারের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের রক্ত অস্বীকার করেছে বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত। এ অপরাধের জন্য জনগণের কাছে তারা ক্ষমা না চাইলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবো।

গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসজেএ/জেডএফ/আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।