ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান গয়েশ্বরের

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান গয়েশ্বরের গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, দেশের রাজা যদি পুলিশই হয় তাহলে তো আপনার পদত্যাগ করা উচিত।



শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষে গয়েশ্বর এ কথা বলেন।

সভায় আহবায়ক কমিটির সদস্য, মহানগরের সকল থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক ও যুগ্ম-আহবায়ক উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি বিরোধী দল নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। আমরা বিরোধী দল বলবো না এ কারণে যে, দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই।   নির্বাচিত দলীয় সরকার থাকলে একটি বিরোধী দল থাকতে পারে। বর্তমানে রওশনের নেতৃত্বে যে বিরোধী দল আছে, সেটা বিরোধী দল নয়, সেটা সরকারের অংশ।

তিনি বলেন, সিটি করপোরশনের এক কমকর্তাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেঠা করে বলেছে ‘মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ’। শেখ হাসিনাকে আমি বলবো, আজকেই পদত্যাগ করুন। কারণ পুলিশই যখন দেশের রাজা, তাহলে আপনি কে?
 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার রাজধানীতেই থাকে। রাজা রাজত্বের জন্য রাজধানী রক্ষার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। রাজধানী যদি নিয়ন্ত্রণ হারায় সব সরকারই পতন হয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা রাজধানী ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমাদের হারিয়ে যাওয়া অতীত গৌরবকে ফিরে পেতে চাই। তাই যারা রাজধানীতে বসবাস করি, তাদের বুঝতে হবে রাজধানীতে থেকেই স্বৈরাচার বিতাড়িত  করবো।

এসময় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কারাবাস প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, তিনি হয় তো সবক্ষেত্রে সফল হতে পারেননি। তবে, তার বিএনপিতে অবদান কম নয়। তিনি জেলে গেছেন কোনো টু শব্দ নাই। ঘরে বসে জেলের তালা ভাঙা যায় না। জেলের তালা ভাঙতে হলে সময় মতো যথাস্থানে থাকতে হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, আজকের সভায় যাদের একান্তই থাকার কথা ছিল, তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। আর যাদের থাকার কথা নয় তারাও আসছেন। এটা সমস্যা। সব মিটিংয়ে সবার আসার দরকার নেই। মহানগর বিএনপির এক চতুর্থাংশ নেতাকর্মী পলাতক। ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার মঞ্চে যাদের থাকার কথা ছিল না, তারা অনেকে সেখানে ছিলেন। যাদের মঞ্চের ২০ গজের মধ্যেও থাকার কথা নয়, তারাও এসেছেন নির্লজ্জের মতো। এদের কী বলবো!

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কর্মী। এরপরে কোনো ভাই-বোন নাই।   আমরা কারো খাইও না; পরিও না। যে কোনো সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে একতা। কিন্তু আমাদের মধ্যে ইউনিটির অভাব আছে, এটা মুখে না বললেও আমরা বুঝি। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কাজ করা যাবে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ড. আর এ গণিকেও স্মরণ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে কখনও অভিমান করে দূরে সরে থাকেননি ড. আর এ গণি। এসময় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় অনুষ্ঠানে।

১৮ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও ২০ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসসহ সব রাজনৈতিক নেতাকে কারাবন্দি রাখার প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে সফল করার আহবান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাজারে ঠিকঠাক মতো যেতে হবে। এটাই আমাদের ঠিকানা।

ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এমএম/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।