ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণ চাইলে ক্ষমতায় আসতেও পারেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
জনগণ চাইলে ক্ষমতায় আসতেও পারেন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিরাজগঞ্জ: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিএনপি নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, জ্বালাও পোড়াও ছেড়ে দিন, জনগণ চাইলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতেও পারেন।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।

এ কারণে জনগণ দ্বিতীয়বারের মত আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না। নাকে খত দিয়ে তিনি পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিলেন। সেখানেও জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছেন।  

বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত আবার মাঠে নেমেছে। এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে জঙ্গিবাদ।

চারদলীয় জোট আমলে দেশে শায়খ আব্দুর রহমান-বাংলা ভাইয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকে আবারও হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মাজারে, মসজিদে হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তারা জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সরকার, পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, চেম্বার প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী জান্নাত-আরা-তালুকদার হেনরী, কৃষকলীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সড়কপথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে আসেন। দুই মন্ত্রী গাড়িতে করে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক ও যমুনার তীর সংরক্ষণ ক্রসবার বাঁধ-৩ পরিদর্শন শেষে শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তাদের অভ্যর্থনা জানান। দুপুর ২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সয়দাবাদে শিগগিরই মূল শিল্পপার্কের কাজ শুরুর আশ্বাস দেন।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সেতুর পশ্চিমপাড়ে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক, নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ক্রসবার বাঁধ অঞ্চল ও হার্ডপয়েন্ট এলাকা ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র এলাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়াও পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ যমুনার ভাঙনের হাত থেকে সিরাজগঞ্জকে রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবিরয়া ও পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তাসহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।