চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ চলছে আজ বুধবার। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জাহাজ এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী এম মনজুর আলম আনারস প্রতীক পেয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার জেসমিন টুলীর সভাপতিত্বে এ কার্যক্রম শুরুর পর প্রথম দফায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৮জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর সংরতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ চলছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর ৬ প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ টেলিভিশন এবং ৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা চশমা, মো.ইব্রাহীম মোটর সাইকেল, জানে আলম দোয়াত-কলম, অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসাইন ভূঁইয়া হেলিকপ্টার ও মো.রফিকুল আলম তালা প্রতীক পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রত্যেক প্রার্থীকে রিটানির্ং অফিসারের স্বার সম্বলিত ওই প্রতীকের ছবি, আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী অন্য কোনো প্রার্থীর দাবি ছাড়াই নির্বিঘেœ জাহাজ প্রতীক পান। তবে এম মনজুর আলমের পছন্দের প্রতীক আনারস আরেক প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়াও দাবি করলে সমঝোতার ভিত্তিতে মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া দাবি প্রত্যাহার করে নেন। এরপর এম মনজুর আলমকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার। এম মঞ্জুর আলমের পক্ষে তার ছেলে সরওয়ার আলম প্রতীক গ্রহণ করেন। একই প্রক্রিয়ায় সৈয়দ সাজ্জাদ জোহার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে টেলিভিশন প্রতীক পান সোলায়মান আলম শেঠ।
প্রতীক পাওয়ার পর তাৎণিক প্রতিক্রিয়ায় সদ্যবিদায়ী মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যে প্রতীক চেয়েছি, সেটাই পেয়েছি। এটা আমার জন্য আনন্দের। আমি নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মেনে প্রচার চালাব। ’
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, ১৪টি সংরতি কাউন্সিলর পদে ৫৯ জন এবং ৪১ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আজ থেকে প্রতীক ব্যবহার করে আগামী ১৫জুন রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। আগামী ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫০৮ ঘন্টা, ২ জুন, ২০১০
আরডিজি/এএইচএস/জেএম