চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃংখলা রাকারী বাহিনী। এজন্য নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীকে দুটি এলাকায় ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে আনসার, আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন), বিডিআর, র্যাব, সেনাবাহিনী এবং উপকূলরী। পুলিশবাহিনী ৩ জুন, বিডিআর ৯ জুন এবং সেনা ও উপকূলরক্ষীবাহিনী ১৪ জুন মাঠে নামবে।
নির্বাচন কমিশন এবার কোনো কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত না করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘সাধারণ’ নামে চিহ্নিত করেছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ২২ জন ও সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ২০ জন করে পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, আনসার ও অঙ্গীভুত আনসার (এমবেডেড) মোতায়েন থাকবে। সেনাবাহিনী ও বিডিআর দায়িত্ব পালন করবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে পাঠানো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা স্বারিত এক চিঠিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার চট্টগ্রাম সফরে এসে সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল জলিল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তার সবই করছি। ’
নগর পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ শামসুল হক জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করবে পুলিশের একটি করে মোবাইল টিম। কেন্দ্রে আসতে ভোটারদের যেন কেউ বাধা দিতে না পারে সেজন্য নগরীর ১৮২টি পয়েন্টে থাকবে পুলিশের ‘বিশেষ অবস্থান’। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিডিআরের মোবাইল টিমে থাকবেন একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ১৬৩টি কেন্দ্রে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।
একইভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে এপিবিএনের একটি এবং পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে আরো একটি করে সুপারভাইজিং টিম কাজ করবে। তিনটি ওয়ার্ডে একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্বিক নিরাপত্তার সমন্বয় করবেন। নগরীর দুটি জোনে দায়িত্ব পালন করবেন দু’জন উপ-কমিশনার। যে কোনো বিশৃঙ্খলায় নগরীর যে কোনো স্থানে দ্রুত অ্যাকশন নিতে তাদের অধীনে থাকবে আরো ১২টি ভ্রাম্যমান (মোবাইল) টিম।
এছাড়া নগরীর ১২টি থানার ছয়টি এলাকায় ভোটের তিন দিন আগে থেকে অবস্থান নেবে সেনাবাহিনীর ছয়টি কোম্পানি। ১৭ জুন নির্বাচনের দিন চান্দগাঁও, বাকলিয়া, বন্দর, পতেঙ্গা ও কোতোয়ালী থানা এলাকার জলপথে টহলের দায়িত্ব পালন করবে উপকূলরক্ষীবাহিনী।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারি কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, চাহিদা অনুযায়ী সারাদেশ থেকে ১২ হাজার পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য ১৪ জুন চট্টগ্রাম এসে পৌঁছবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৫০০ঘণ্টা, ০২.০৬.১০
প্রতিনিধি/এজে/জেএম