ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতি-খালেদা বৈঠক শেষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
রাষ্ট্রপতি-খালেদা বৈঠক শেষ

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। রাষ্ট্রপতির সরকারি ভবন বঙ্গভবনে এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে এ বৈঠক শেষ হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনে পৌছান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  
 
দলীয় সূত্র জানায়, নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার দেওয়া ১৩ দফার ভিত্তিতেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
 
দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা, বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তৈরি দফাগুলো হলো- (১) ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন, (২) প্রধান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন, (৩) বাছাই কমিটির আহ্বায়ক হবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মক্ষম একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি যিনি বিতর্কিত নন এবং অবসর সময় সরকারের কোনো লাভজনক পদে আসীন হননি, (৪) বাছাই কমিটির অন্য সদস্যরা হবেন- আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, (৫) বছাই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য দুই জন ও চারজন নির্বাচন কমিশনারের জন্য ৮ জনের নামের তালিকা দেবেন। এই তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশন ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন, (৬) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যের ভিত্তিতে ইসি গঠন, (৭) কমিশনে অন্তত একজন প্রবীণ মহিলা কমিশনার রাখা, (৮) নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদানের বিধান কমিশনের আরপিওতে সংযোজন, (৯) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দলগুলো ২ জন করে ব্যক্তির নাম বাছাই কমিটির কাছে প্রস্তাব করবে, (১০) বাছাই কমিটিই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, (১১) কেউ যদি দায়িত্ব পালনে অসম্মতি প্রকাশ করেন তাহলে একই প্রক্রিয়ায় পুন:রায় কমিশনার নিয়োগ, (১২) প্রধান কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের হতে হবে দলনিরপেক্ষ, সর্বজন শ্রদ্ধেয় স‍ৎ ব্যক্তি এবং (১৩) নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গঠন।
 
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপিসহ ৫টি দলকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বঙ্গভবনে যান বিএনপির প্রতিনিধি দল।
 
২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর এলডিপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদকে ডাকা হয়েছে বঙ্গভবনে। বাকি নিবন্ধিত দলগুলোকেও পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে।
 
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
 
প্রস্তাবে তিনি সব দলের সঙ্গে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে শীতল প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে।
 
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠন করার এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে তিনি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন। বর্তমান কমিশন গঠনের আগে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন করেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
 
**বঙ্গভবনে খালেদা
**খালেদার নেতৃত্বে বিকেলে বঙ্গভবনে যাচ্ছে বিএনপি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এজেড/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।