ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যাপের ১১ প্রস্তাব, ৫ সুপারিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যাপের ১১ প্রস্তাব, ৫ সুপারিশ বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কাছে ১১ দফা প্রস্তাব ও ৫ টি সুপারিশ করেছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাপ।

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১১ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে যায়।
 
টানা ৩৫ মিনিট আলোচনা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে এসে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের জেবেল রহমান গাণি বলেন, শুধু শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হলেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।

নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। এ বিষয়টি আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলে এসেছি।
 
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একমত। তবে, যেহেতু বর্তমান সংসদের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি সেই অর্থে নেই, সেহেতু এই সংসদে কোনো আইন প্রণয়ন হোক সেটা এই মুহূর্তে আমরা চাই না।
 
ন্যাপের পতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দলটির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারওয়ার খান, সাদ্দাম হোসেন, ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান মনির এনায়েত মল্লিক, মো. ফারহানুল হক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, মো. নুরুল আমীন চৌধুরী, সম্পাদক শহীদুননবী ডাবলু ও মো. কামাল ভূঁইয়া।
 
রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া ন্যাপের প্রস্তাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১) (ক) সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন করা, (খ) বাছাই কমিটিতে থাকবেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, প্রাজ্ঞ এবং নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি, (গ) সার্চ কমিটির প্রধান হবে অবসরপ্রাপ্ত একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, যিনি অবসরের পর কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন নি, (ঘ) আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি, যিনি অবসরের পর রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন নি, ২) নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হতে হবে, ৩) এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যে কমিশন বছরে অন্তত ৩ বার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে, ৪) নির্বাচনী প্রচারণায় দলের চেয়ারম্যান/সভাপতি, মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদকদের উপর কোনো বিধি নিষেধ রাখা যাবে না, ৫) রাজনৈতিক দলগুলো সাথে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের বিবরণী, সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধির স্বাক্ষরযুক্ত দলিল হিসেবে সর্ব সাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে প্রভৃতি।
 
সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ হলো- ক) শক্তিশালী নির্বাচন কশিমন গঠনের পূর্ব শর্ত হলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের জাতীয় ঐক্য, খ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের সুফল সকল রাজনৈতিক দলকে পেতে হবে, গ) প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা গেলে নিশ্চয়-ই রাষ্ট্রপতির অর্থবহ চিন্তাকে সম্মান করার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সায় থাকবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এজেড/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।