ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় ছাত্রলীগ ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে হত্যার পর জিয়া ও এরশাদ এর সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ৯০’র গণআন্দোলনে গরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ।
৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এর পর সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হবে। এদিন সারা দেশে ছাত্রলীগের সকল শাখার উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। তবে ঢাকায় এ দিন শোভাযাত্রা হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এবং ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সংগঠনের আলাদা কর্মসূচি থাকায় ৪ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৬ জানুয়ারি শনিবার সরকারি ছুটির দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আগামী ৮ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ৯ জানুয়ারি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং ১১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবে ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ