দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস মিলেছে। মেয়র পদে ছাড়ের শর্তে কিছু কাউন্সিলর আদায় করতে চায় সরকারিদল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে।
রসিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পরে অনেকে নেতাই ঢাকায় প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন। প্রার্থী দিতে চাওয়াদের যুক্তি হচ্ছে, এখানে যদি সম্মানজনক ভোট পাওয়া যায় তাহলে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হবে। সেই সঙ্গে জোটের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির কদর বাড়বে। এতে সুবিধা হবে দরকষাকষিতে।
আবার কেউ কেউ প্রার্থী দিয়ে ভরাডুবির চেয়ে রংপুরের চাঙ্গাভাব ধরে রাখতে চাইছেন। তাদের মত, বিগত উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভারডুবির কারণে ইমেজ সংকটে পড়েছিলো জাতীয় পার্টি। রসিক নির্বাচনে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় রাজধানীতে নির্বাচন করে ঝুঁকি নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তার চেয়ে কাউন্সিলর বাগিয়ে নিতে পারলে মন্দ হয় না।
জাপা সূত্র জানায়, মেয়র পদে জাতীয় পার্টির দু’জন প্রার্থীর নাম আলোচিত হচ্ছে। এরা হলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও ডিএনসিসির মোহাম্মদ থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি সফিকুল ইসলাম সেন্টু।
তরুণ নেতা সেন্টুর সাংগঠনিক দক্ষতা ও বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর বাইরে মেয়র পদে নির্বাচন করার মতো আগ্রহী প্রার্থী নেই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বাংলানিউজকে জানান, দলীয় ফোরামে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তফসিল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, এখনই চূড়ান্ত বলার সময় হয়নি। যাচাই-বাছাই চলছে, তারপরেই বলা যাবে।
পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় বাংলানিউজকে জানান, এখন এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী বাংলানিউজকে জানান, বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখানে জাতীয় পার্টি কোনো প্রার্থী দেয়নি। এবার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে মেয়র পদ শূন্য হয়। ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া নতুন ৩৬টি (১৮টি করে) সাধারণ ওয়ার্ড ও ১২টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসআই/এএ