রোববার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাবেক মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র যেসব দেশে আছে, সেসব দেশেই সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হয়।
‘কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন দক্ষ। তারা নিষ্ঠার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তা না হলে রংপুরে আমরা লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হারবো কেন?’
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো চেষ্টা করেনি। প্রভাবিত হয়ও নি। আগামী নির্বাচনও একই রকমই হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।
‘সরকার মূলত দৈনন্দিন কাজগুলো করবে, নির্বাচন পরিচালনা করবে ইসি। এর বাইরে বিএনপি কিছু পাবে না। সেটা মেনেই বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিৎ। ’
তোফায়েল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে বলেছিলেন-আপনারা আসুন। যেসব মন্ত্রণালয় চান দেওয়া হবে। সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করি, খালেদা জিয়া সেটা প্রত্যাখান করেছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার বাসায় যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সামনে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিশ্চয়ই ভালো একটি উদ্দেশ্যে নিয়ে এটি করেছেন। যাদের মন্ত্রণালয় বদল করা হয়েছে তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিশ্বের সব দেশেই হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসই/আরআইএস