সোমবার (০৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন আওয়ামী লীগের রনজিত গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী রুহেল আহমদ, জাকির আহমদ ও সৈয়দ আবিদ আহমদ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের রঞ্জিত গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ। এসময় তারা তানিমের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। অবশ্য কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে রোববার (০৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে টিলাগড় পয়েন্ট প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তানিম। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী তানিম সিলেট সরকারি কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের ছাত্র ও টিলাগড় এলাকার ছাত্রলীগকর্মী। তিনি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ভুরুঙ্গা এলাকার ইসরাইল খানের ছেলে।
৪ জানুয়ারি টিলাগড় এমসি কলেজে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ-রঞ্জিত গ্রুপের দ্বন্দ্বে জের ধরে খুনের এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বাংলানিউজকে বলেন, দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তানিম খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকার ও সিটি কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন কর্মী আহত হন। এ ঘটনার দু’দিন পরই কোন্দলেই ছাত্রলীগ কর্মী তানিমকে প্রাণ হারাতে হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এনইউ/এসএইচ