তিনি বলেন, অষ্টম দিনের মতো শুনছি, এর মধ্যে প্রসিকিউশন একদিন বলেছে আর বাকি ৭ দিন আপনারা বলছেন। যা বলবেন আজ বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে শেষ করবেন।
এসময় খালেদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, মাননীয় আদালত, একটু ডিলে হয়েছে বলতে পারেন, কিন্তু এর পর যা বলেছেন তা বলতে পারেন না।
পরে বিচারক বলেন, সিনিয়র, আপনি তো ১০টায় এসেছেন। সাড়ে ১০টায় যদি আসতেন তাহলে আরও দেড় ঘণ্টা কথা বলতে পারতেন। ১২টায় কেন শুরু করতে হবে। আমার তো আরও আসামি আছে। কোর্ট টাইম সাড়ে ১০টায়। আমি ১২টায় উঠবো না।
খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধান বিচারপতি কি এমন ব্যবহার করেন। তিনি এভাবে বলতে পারেন না। যেভাবে বলছেন এটা হতে পারে না।
এসময় আদালত আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আজকের মধ্যে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ করতে হবে- এমন নির্দেশ দিলে আদালতে উত্তেজনা শুরু হয়।
এসময় বিচারক বলে ওঠেন, আপনারা যদি হইচই করেন তাহলে আমি কোর্ট মুলতবি করে দেবো।
পরিস্থিতি দেখে আদালতের কাছে ১ মিনিট সময় চেয়ে খালেদার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান বলেন, মাননীয় আদালত যে তিনটি কথার উপর ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছে, তা হলো খালেদা জিয়ার অ্যাকাউন্ট খোলা, টাকা ওঠানো এবং সেই টাকা বণ্টন। তাহলে কেন আমাদের এতো কথা বলতে হচ্ছে। আমরা বারবার বলেছি, এটা একটা জালিয়াতি নথি। এর উপর ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনি আসামিকে জিজ্ঞেস করেছেন এই টাকা কোথায় ক্যাশ হয়েছে। আপনি আসামির উপর জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছেন। এটা করতে পারেন না। পৃথিবীর কোথাও কোনো ক্রিমিনাল কেসে এটা করা হয় না।
এটা বলে আব্দুর রেজ্জাক কথা শেষ করলে পুনরায় যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন এজে মোহাম্মদ আলী।
***আদালতে খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
এএম/এএ