সোমবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনছার আলী দিহিদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নিহত শুকুর জোকা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে দৈবজ্ঞহাটি গ্রামের আবিদ আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন তাঁতী লীগের শ্রম উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বাবলু শেখ (৩৫) ও দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরের ভাগ্নে মিল্টন খান (৩৩)। বাবলু শেখ দৈবজ্ঞ্যহাটি গ্রামের ফরিদ শেখের ছেলে। আনছার আলী একই আবিদ আলীর ছেলে। মিল্টন একই গ্রামের লতিপ খানের ছেলে।
এ ঘটনায় দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরসহ দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। তবে পরবর্তীতে সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলায় আহত দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন তাঁতী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবলু শেখ বাংলানিউজকে বলেন, দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুলের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যান ফকির শহীদুল ইসলামের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা বাজার থেকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাদের সবাইকে বোরকা পরায়। পরে আমাদের সবাইকে পরিষদ থেকে বাইরে নিয়ে এসে চেয়ারম্যান শহিদুল চিৎকার করে বলতে থাকে আমরা তাকে হত্যা করতে এসেছি। এসময় তার ক্যাডার বাহিনী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসেটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেম এম আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, 'আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো দুই জন আহত হয়েছেন। '
পুলিশ ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য চেয়ারম্যান ফকির শহীদুল ইসলামসহ দুইজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮ আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা
এনটি