ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

২ চিকিৎসক নিয়ে আপত্তি বিএনপির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৮
২ চিকিৎসক নিয়ে আপত্তি বিএনপির বিএসএমএমইউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আদালতের নির্দেশিত মেডিকেল বোর্ডে স্বাচিপ ও ড্যাবের বাইরের চিকিৎসক নেওয়ার কথা থাকলেও গঠিত বোর্ডে রাখা দু’জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

রোববার (৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের বোর্ডে দু’জন চিকিৎসক আছেন, যারা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) আজীবন সদস্য।  

তবে কোন দু’জনকে নিয়ে আপত্তি, সেটি স্পষ্ট করেননি মওদুদ আহমদ।

কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শনিবার (৬ অক্টোবর) পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে কেবিন ব্লকের ৬১১ নম্বর কেবিনে রয়েছেন বিএনপি প্রধান। এরইমধ্যে ৬১২ নম্বর কেবিনে গিয়ে তার চিকিৎসার ফাইলপত্র পর্যালোচনা করেছে মেডিকেল বোর্ড।

বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো আব্দুল জলিল চৌধুরীর নেতৃত্বে বোর্ডে আরও রয়েছেন- ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নকুল কুমার দত্ত।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে ঢোকে। প্রতিনিধি দলে সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবেদিন, কাওসার কামাল, এজে মোহাম্মদ আলীকেও দেখা যায়।

তারা বিএনপি নেত্রীর সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনের রুমে যান।

পরে বেরিয়ে মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজ হাসপাতালে এসে আদালতের নির্দেশ হাসপাতাল পরিচালককে জানিয়েছি। ম্যাডামের ৪টি গাইনোকোলজি ও ফিজিওথেরাপি করা লাগবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালের বাইরের চিকিৎসকও আনা যাবে এটা জানিয়েছি। তাছাড়া নেত্রীর সার্বক্ষণিক খোঁজ নিতে পরিচালককে অনুরোধ করেছি। তিনিও সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও বেশ ক’টি মামলায় তার বিচারকার্য চলছে। খালেদা জিয়া অসুস্থ দাবি করে বারবার বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দাবি করা হচ্ছে।

খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনাসহ তার চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি রিট করা হয়।  

এরমধ্যে আবার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।

পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যেখানে স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার মত দেয় মেডিকেল বোর্ড। তবে যে হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে সে হাসপাতালের কথা সুপারিশ করা হয়। সে বিবেচনায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

এদিকে ওই রিট আবেদনের পর ৪ অক্টোবর দুপুরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খালেদাকে বিএসএমএমইউতে দ্রুত চিকিৎসা এবং ভর্তির জন্য ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠনে নির্দেশনা দেন। সেদিন রাতেই এ আদেশের কপি কারাগারে ও বিএসএমএমইউতে পৌঁছায়। এরপর উভয় কর্তৃপক্ষই খালেদাকে হাসপাতালে ভর্তির প্রস্তুতি শুরু করে। এরপর ৬ অক্টোবর বিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮/আপডেট ১৩৪১ ঘণ্টা
ইএআর/আরবি/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।