ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার ৭ বছর কারাদণ্ড

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার ৭ বছর কারাদণ্ড অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি খালেদা জিয়া/ফাইল ফটো

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে বন্দি থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এদের মধ্যে খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারিতেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন। হারিছ চৌধুরী রয়েছেন পলাতক। অপর দুই আসামিও দীর্ঘদিন জামিনে থাকলেও সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মুন্না ও মনিরুলকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে অপর দুই আসামি মুন্না ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়।

চারজনের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকায় খালেদা জিয়ার নামে কাকরাইলে কেনা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

তবে শুনানি চলাকালে খালেদা জিয়া একাধিকবার আদালতে হাজির হতে অনিচ্ছা দেখান। সবশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বরও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক, একইসঙ্গে খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করলে ১৪ অক্টোবর সেটি খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। সোমবার খালেদার করা লিভ টু আপিল সকালে খারিজ হওয়ার পর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫। ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি প্রধান।

**রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ দুদকের
**‌‘ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে’
**'৩১ অক্টোবরের মধ্যেই অরফানেজের আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে'
**একজন জনসভা করছেন, আরেকজনকে সাজা দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
**প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করে এ ধরনের দুর্নীতি কাম্য নয়

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮/আপডেট ১৩৩৫ ঘণ্টা
এমএএম/এজেডএস/এসকেবি/পিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।