জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা, বাংলানিউজে এমন সংবাদ প্রকাশের তিনদিনের মাথায় ২৮ অক্টোবর (রোববার) এ প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। যদিও এটি ছাপানো হয় ২৯ অক্টোবর (সোমবার)।
ইসির প্রজ্ঞাপনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪। কিন্তু একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে দলটির নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।
সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এতোদিন পর সংগ্রহ করে জামায়াতের নিবন্ধন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করলো নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন। যদিও এতোদিন ওই রায়ের ভিত্তিতেই দলটিকে সব নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে ইসি।
২০১৭ সালের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচনের প্রতীকে তালিকা থেকেও দাঁড়িপাল্লা বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর স্থানীয় নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন করে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাদ দেওয়া হয় ২০১৫ সালে।
সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থায় জামায়াতের অংশ নেওয়ার সব পথ মোটামোটিভাবে বন্ধ হয়ে গেলো বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের মতে, হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে যদিও জামায়াত আপিল করেছে। কিন্তু আপিল কর্তৃপক্ষ আগের রায় স্থগিত করে আপিল গ্রহণ না করায় নিবন্ধন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। এখন আপিলে যদি জামায়াতের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বৈধ হয়, তবে জামায়াতকে নিয়ে আবারও ভাবতে হবে ইসিকে।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট রিট পিটিশন নং ৬৩০/২০০৯ এর ওপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে, জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদানকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর এবং জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮ আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা
ইইউডি/জেডএস