শুক্রবার (১৬ নশ্বের) দুপুর ২টার দিকে গোপীনাথপুরের বীরগাঁও কান্দাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নিলক্ষা ইউনিয়নের বাড়ীগাঁও গ্রামের ওসামান মিয়ার ছেলে সোহরাব মিয়া (৩০), একই ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সোবান মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭) ও নাসির উদ্দিনের ছেলে মরম আলী।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নীলক্ষা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় তাজুল ইসলাম সরকারের সমর্থকরা। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব মিয়া মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর স্বপন ও মরম আলী মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নিলক্ষা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হত্যার পর তার হত্যাকারীরা গা ঢাকা দেয় এবং তারা নিজ এলাকা ছেড়ে সফি মেম্বারের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মূলত সকালে সিরাজুল ইসলাম ও সাহেদ সরকারের সমর্থকদের ঝগড়া নিলক্ষা ইউনিয়নেও ছড়িয়ে পড়ে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পৃথক দুইটি ঘটনাই আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকালে বাঁশগাড়ি এলাকায় এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। সেই ঘটনার জের নিলক্ষাসহ কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় আরো তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮/আপডেট: ২০০২
আরএ