শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাতে নীলক্ষার মেঘনা নদীতে নৌকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, মূলত আধিপত বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই দলের দুই নেতা সাহেদ সরকার ও সিরাজুল চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর বেশকিছু দিন ধরে এ সংঘর্ষ ছিল। শুক্রবার সকালে হঠাৎ সাহেদ সরকারের সমর্থকরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ওই সময় প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সংঘর্ষ বাশগাড়ী ছাড়িয়ে নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, পরে নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে হামলা পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ঠিক কতজন লোকজন আহত হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার কারণ চরাঞ্চলে যাতায়েতের ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে। এরই মধ্যে ৯টি আগ্নোয়াস্ত্র ও গুলিসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
ওএইচ/