মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহার প্রকাশ করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে বিভিন্ন মেয়াদে সরকারে থাকার সময়কার অর্জনগুলো তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ। এর পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়কার নানা নেতিবাচক দিকও তুলে ধরা হবে।
এবারের ইশতেহারের মূল বিষয় তারুণ্য এবং গ্রামের উন্নয়ন। ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করবে দলটি, এর প্রথমেই আছে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা দেওয়া। এরপরই থাকছে তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা।
এছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ দলটির অন্যতম অঙ্গীকার হিসেবে থাকছে।
এই ইশতেহারে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীদের জন্য বিশেষ অঙ্গীকার থাকছে। আর তা হলো- নারীর ক্ষমতা, লিঙ্গসমতা ও শিশুকল্যাণ। এর আগে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার অঙ্গীকার করেছিল আওয়ামী লীগ। এবার দলটি পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার অঙ্গীকার করছে।
সরকারের শেষ মেয়াদে চলতি বছর মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছিল। এবারের ইশতেহারে এ নিয়ে অঙ্গীকার করেছে দলটি। সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের পাশাপাশি মাদক নির্মূল করার অঙ্গীকার আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের।
এই সরকার পদ্মাসেতু, ঢাকায় মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব মেগা প্রকল্পের দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন করতে চায় আগামী পাঁচ বছরে। ইশতেহারে দেওয়া এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে-২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা, দারিদ্র্য নির্মূল, সব স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা, সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তার অঙ্গীকার করবে আওয়ামী লীগ।
এবার দলটির অঙ্গীকার আধুনিক কৃষিব্যবস্থা সম্প্রসারণ। যার লক্ষ্য হবে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ। পাশাপাশি অঙ্গীকারে থাকছে দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কথা।
গত ১০ বছরে দুই দফায় মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত দুটি আন্তর্জাতিক সালিসিতে সাফল্য অর্জন করে সরকার। ব্লু-ইকোনমি এবং সমুদ্র উন্নয়ন থাকছে আগামীর অঙ্গীকার।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিশু–কিশোরদের আন্দোলন হয় চলতি বছরই। নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তার অঙ্গীকার করছে আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের কল্যাণ অন্যতম অঙ্গীকার। একুশ বিশেষ অঙ্গীকারের শেষটি হলো টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন।
>> আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা মঙ্গলবার
এর আগে ইশতেহার ঘোষণার আগে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এমএ