ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায় আওয়ামী লীগের ইশতেহার

হোটেল সোনারগাঁও থেকে: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পেলে দেশে দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কর্মসূচি নিয়ে বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেছেন, আগামী ৫ বছরে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ।

২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪৭৯ ডলারেরও বেশি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।  

‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের এই ইশতেহারে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে।  

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

‘আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিধি ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। ’

আওয়ামী লীগের বিশেষ অঙ্গীকারইশতেহারে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িতকতা এবং মাদক নির্মূলের কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িতকতা ও মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস, দখলবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হবে।  

পাশাপাশি থাকছে দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাসের বিষয়টিও। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় চার কোটি ৯২ লাখ বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে। আগামী ৫ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে এবং সবার ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে। দারিদ্র্যের হার ১২.৩ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।  

‘প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনের নিয়মিত রোজগার নিশ্চিত করা হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। সহজ শর্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আয়বর্ধকমূলক কর্মকাণ্ড সম্পৃক্ত করা হবে। ’  

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্যে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও ৫ মিলিয়ন ঘন এলএমজি জ্বালানি খাতে ব্যবহার করা হবে।  

এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত রয়েছেন।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।