হাবিবুর রহমান মোল্লার সঙ্গে বিএনপি জোটের প্রার্থী হয়েছেন নবী উল্লাহ নবী। আর প্রার্থী হয়েই প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হতে যাত্রবাড়ী-ডেমরা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন নবী উল্লাহ।
তবে হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রচার-প্রচারণাও কম নয়। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশায় ভোটারদের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন মোল্লা।
সরেজমিনে রাজধানীর অন্যান্য আসনের তুলনায় এ এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার বেশি দেখা গেছে। অন্যদের তুলনায় প্রচারণাও বেশি দেখা গেছে নবী উল্লাহর। শুধু ভোটই নয়, তার দলীয় নেত্রীর মুক্তির কথাও ভোটারদের বলছেন তিনি।
প্রচারণার এক ফাঁকে নবী উল্লাহ সাংবাদিকদের বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তার দল বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।
ঢাকা-৫ আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, এবং ৭০ ওয়ার্ড অবস্থিত। এছাড়াও যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মাতুয়াইল ও সারুলিয়ায় বিস্তৃত এ আসন।
আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭২৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৫৯২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ জন।
নৌকার সমর্থক কাজলা এলাকার বাসিন্দা তরীকুল হক বলেন, সরকার যে উন্নয়ন করছে তাতে অন্য কারো পাত্তা পাওয়ার কথা না। এই ধরেন, ফ্লাইওভারটা (যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান)। এটা হওয়ার আগে যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ একটা আজাবের এলাকা ছিল। শুধু যানজট আর যানজট। সারাদেশের গাড়ি যাত্রাবাড়ীর ওপর দিয়া যেতো। এখন দেখেন, কী সুন্দর। দূরপাল্লাসহ গুলিস্তানের গাড়িগুলো উপর দিয়া চলে যাচ্ছে। তেমন যানজট নেই।
আসনটিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে বলে মনে করেন কর্মী-সমর্থকেরা। পাশাপাশি ঢাকার বাইরের বাসিন্দারা এ এলাকার ভোটের ফলাফলে ভূমিকা রাখবেন।
মাতুয়াইলের মেহেদী হাসান বলেন, এ এলাকায় সালাহ উদ্দিন ও নবী উল্লাহর প্রভাব কিন্তু কম না। তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। তাই নির্বাচনে কিন্তু তীব্র লড়াই হবে।
গেলবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাবিবুর রহমান মোল্লা নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়েছিলেন। বিএনপির সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেবার পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৮৯৫ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এসএইচ