শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে মগবাজারের একটি চায়ের দোকানে দেখা যায় ভোটাররা নির্বাচনী আলাপে মশগুল। একজন ভোটার এলাকার এক প্রার্থীর পক্ষে কথা বললেন, তার প্রশংসা করলেন তো আরেক ভোটার একই আসনের আরেক প্রার্থীর প্রশংসা করে তাকেই এগিয়ে রাখলেন।
শীতের আমেজে চায়ের চুমুকে চুমুকে চলছে ভোটের আলাপ। সেই আলাপের কোনো শেষ নেই। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সেই ভোটের আলাপ।
এদিকে অফিস-আদালতেও ভোটের আলাপ থেমে নেই। ক্যান্টিনেও চায়ের চুমুকের ফাঁকে ফাঁকে ভোটের আলাপ চলছে।
রাজধানীর বিভিন্ন চায়ের দোকানে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যেই ভোটের আলাপে আগ্রহ বেশি দেখা যায়। চা পান করতে করতে অনেকেই নির্দ্বিধায় কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা জোটের পক্ষে নিজের অবস্থান প্রকাশ করছেন। তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনেকেই তার রাজনৈতিক অবস্থান কৌশলগত কারণে প্রকাশ করেন না। সে কারণে ভোটের আলাপ থেকে দূরে থাকারও চেষ্টা করেন কেউ কেউ। তবে ভোটের দিন এখন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ভোটের আলাপ।
আবার কোথাও কোথাও ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। ভোটের আলাপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ঠেকাতে কোনো কোনো চায়ের দোকান ছোট নোটিশও টাঙিয়েছে। সেখানে লেখা-‘রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ’। রাজধানীর পল্টনে একটি চায়ের দোকানে এমন নোটিশও চোখে পড়লো। এ নোটিশ টাঙানোর পেছনে কারণ কী- দোকানি হানিফ শেখকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানালেন, কয়েকদিন আগে ভোটের আলাপ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি এ নোটিশ টানিয়েছেন।
৩০ ডিসেম্বর (রোববার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
টিআর/এসএইচ/এএ