রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।
পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরওয়ার বলেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও সংলাপ ও সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা ছিলো আমাদের। কিন্তু এখন দেখছি, সরকারদলীয়রা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।
সরওয়ার বলেন, শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনে আমার উঠান বৈঠকে যাওয়ার পথে নেহালগঞ্জ ফেরীঘাটে, ফেরি ও ট্রলার বন্ধ রাখা হয়, এমনকি নৌকা পর্যন্ত শেকল দিয়ে আটকে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। উঠান বৈঠকে আসা নেতাকর্মীদের বাঁশির হুইসেল দিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়। শুধু তাই নয়, বরিশালে এ পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন আবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা এক জায়গায় হলেও সারা বরিশালের নেতাকর্মীদের সে মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা একাধিকবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু তার পরেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তারা (আওয়ামী লীগ) এতোটাই উন্নয়ন করলে জনগণকে ভয় পাচ্ছে কেন এমন প্রশ্ন তুলে সরোয়ার বলেন, নির্বাচনের কিছুদিন বাকি, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠে নেমেছে। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামছে। আমরা আশা করি, সেনাবাহিনী পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। ৩০ ডিসেম্বর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান লিংকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আলম পান্না, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মেবুল, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট মামুন হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, বরিশাল বিভাগের মধ্যে ভোলা, পিরোজপুর-ঝালকাঠি ও বরিশালের অবস্থা সব থেকে বেশি ভয়াবহ। এসব এলাকায় প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার পাশাপাশি হামলা-মামলাসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার চলছে। আর গ্রেফতার আতঙ্ক বরিশালের সব জেলায়ই ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এমএস/আরবি/